শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) শাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, কথিত অভিযোগে সাংবাদিক ফাতেমা তুজ জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পরিপন্থি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তা চর্চার সর্বোচ্চ অঙ্গন। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র খ্যাত ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ হবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রূপকার। কিন্তু বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরচারী শাসন বিশ্ববিদ্যালয়কে তার স্বীয় চরিত্র থেকে বিচ্যুত করছে। কথিত অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও সিন্ডিকেটের সভা ছাড়াই বশেমুরবিপ্রবির সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী জিনিয়াকে বহিষ্কার স্বৈরশাসনের অশনিসংকেত বহন করে।
স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতির বহিষ্কার তাকে মানসিকভাবে আঘাত করা ও সাংবাদিকতার মতো মহৎ পেশা থেকে তার স্পৃহাকে দমিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা এবং শিগগিরই জিনিয়ার ওপর আরোপিত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার জন্য আহবান জানান তারা।
গত ২২ আগস্ট প্রতিবেদন তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বক্তব্য নিতে তার কার্যালয়ে যান ‘ডেইলি সান’ পত্রিকার বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি জিনিয়া। এ সময় উপাচার্য তাকে এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া একটি স্ট্যাটাস ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ কি হওয়া উচিত?’ এর কারণ জানতে চান, এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক আদেশে ফাতেমা তুজ জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
আরআইএস/