রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবহনকারী বাসগুলো ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের রায়সাহেব বাজার মোড়ে পৌঁছালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ফলে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ও গুলিস্তান-সদরঘাট রুটে।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রক্টরের আশ্বাসে ক্যাম্পাসে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে ফিরে এসে সকাল ১১টা নাগাদ ক্যাম্পাসের দ্বিতীয় গেট দখল করে থাকা অবৈধ লেগুনা ও মিনিবাসস্ট্যান্ড উচ্ছেদের সময় বেশ কয়েকটা লেগুনা ও মিনিবাস ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা দ্বিতীয় গেটটি তালা ভেঙে তারা খুলে দেন।
পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, র্যাবের হামলার বিচার অতিদ্রুত করতে হবে। সুষ্ঠু বিচার না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, র্যাব দুপুর ১টা পর্যন্ত সময় নিয়েছে। এর মধ্যে তারা এলে ভিসি ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে এর সমাধান করা হবে।
এছাড়া লেগুনা ও মিনিবাস ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে কোনো বাসস্ট্যান্ড থাকবে না। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে তা সরিয়ে দেওয়া হবে। আজকে যারা ভাঙচুর করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরা গরিব মানুষ। এ দিয়ে তারা তাদের পরিবার চালায়। এটা ভাঙচুর করার অধিকার কারও নেই। তাদের সময় দেওয়া হয়েছে লেগুনা ও মিনি বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে নেওয়ার জন্য।
গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) শিক্ষার্থী পরিবহনকারী উত্তরণ-২ বাসটি সায়েদাবাদ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে পৌঁছানোর পর র্যাব ১০-এর একটি গাড়ি ফ্লাইওভারে ওঠার মুখ বন্ধ করে আড়াআড়ি দাঁড়িয়েছিল। এসময় শিক্ষার্থীরা গাড়িটি সরাতে বললে ওই গাড়ি থেকে কয়েকজন র্যাব সদস্য নেমে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। এ ঘটনায় একজন গুরুতরসহ পাঁচজন শিক্ষার্থী আহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
কেডি/আরবি/