বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সংকট নিরসন ও গণরুম সমস্যা সমাধানের দাবিতে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে নিজের সিট ছেড়ে গণরুমে থাকছেন ডাকসু সদস্য সৈকত।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সৈকত বলেন, উপাচার্য মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক হয়েও শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট সমাধান করতে পারছেন না, শিক্ষার্থীরা মানবেতর জীবনযাপন করবে আর তিনি প্রাসাদোপম বাংলোয় আয়েশে থাকবেন এটা কোনোভাবেই অভিভাবকসুলভ কোনো কাজ হতে পারে না। উপাচার্য মহোদয়ের বিবেকে না বাঁধলেও, গণরুম সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের অভিভাবকের ছায়াতলে আশ্রয় নিতে চাই।
লিখিত বক্তব্যে সৈকত বলেন, গণরুম সমস্যা সমাধানের জন্য গত ১ অক্টোবর সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে গণরুমবাসী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ছাত্রসমাবেশ থেকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে গণরুম সমস্যা সমাধানে দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত না হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনে ওঠার একটি আল্টিমেটাম দিয়েছি।
‘এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত প্রোভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে আশাব্যঞ্জক কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এজন্য প্রশাসনকে সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। যা শিক্ষার্থীদের আগের আশার বাণী শুনিয়ে শুনিয়ে কালক্ষেপণের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীরা আরও একবার আশাহতের বেদনায় জর্জরিত হওয়ার আশঙ্কা করছে। '
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
এসকেবি/এএ