পরীক্ষা শুরুর আগেই শাবিপ্রবিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহয়তা দিতে এগিয়ে আসনে চেম্বার নেতারা। শিক্ষার্থীদের পরিবহন সংকটে ভোগান্তি পোহাতে না হয়, এটাই ছিল সিলেট চেম্বার নেতাদের মূল লক্ষ্য।
ওই বাসগুলো পরীক্ষার্থীদের বহন করে পৌঁছে দেয় শাবিপ্রবিতে। আর প্রতিটি বাসে একজন করে গাইড হিসেবে দেওয়া হয় রোটারেক্ট ক্লাবের সদস্যকে। এরপরও বসে থাকেননি চেম্বার নেতারা। কাক ডাকা ভোরে তারা বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে বাসে পরীক্ষার্থীদের পরিবহনের তদারকি করেছেন।
এ বিষয়ে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি তাহমিন আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, শাবিপ্রবিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা যাতে আস্থাহীনতায় না ভোগেন, এটাই ছিল মূল লক্ষ্য। কেন না, অন্যকে দিয়ে কাজ করানো, আর নিজে করার মধ্যে তফাত রয়েছে।
চেম্বারের এ নেতার মতে, ‘আজকের দিনে আমার জীবনের সব চেয়ে ভালো কাজটি করতে পেরেছি। ’শনিবার (২৬ অক্টোবর) শাবিপ্রবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় ২৮টি বিভাগের অধীনে এক হাজার ৭০৩টি আসনের বিপরীতে ৭০ হাজার ৫৫৪ জন ভর্তিচ্ছু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
পরীক্ষায় প্রায় ৭১ হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মিলিয়ে অন্তত দুই লাখ মানুষের পদচারনায় মুখর ছিল সিলেট নগর। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেকে হোটেল-মোটেলে স্থান না পেয়ে নগরের বিভিন্ন মসজিদে রাত কাটিয়েছেন।
পরীক্ষার্থীরা যাতে পরিবহন সংকটে না পড়েন, এ জন্য সহায়তা স্বরূপ বিনামূল্যে ২০টি বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করে সিলেট চেম্বার অব কমার্স। পাশাপাশি একটি রাইড শেয়ারিং গ্রুপ ২শ’ মোটরসাইকেল নিয়ে পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে আসে। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে পরিবহন বিড়ম্বনায় না পড়লেও তাদের অভিভাবকদের বৃষ্টি বিড়ম্বনায় ভোগান্তিতে পোহাতে হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
এনইউ/আরআইএস/