বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’র ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধনে উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরা দাবি করেন, বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবনের প্রধান ফটকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভবনে প্রবেশ করা নিয়ে বাক-বিতণ্ডা হয়।
মানববন্ধনে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’র সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, ‘মহিবুর রৌফ শৈবাল আমাদের সহকর্মী, ছাত্র এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া একজন ভালো অভিনেতা ও নাট্যকর্মী সহ তিনি অনেক কিছুর সঙ্গে জড়িত আছেন। তার ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, সেটা দেখে আমাদের কাছে ৭১ সালের কথাই মনে পড়ে যায়। সুতারাং আমরা এ আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এছাড়া এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। ’
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক নীলাঞ্জন কুমার সাহা, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নুহু আলম, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, অধ্যাপক এ কে এম ইউসুফ হাসান ও সহযোগী অধ্যাপক সোমা মুমতাজ প্রমুখ।
তবে সহকারী প্রক্টরের ওপর ‘হামলার’ অভিযোগ অস্বীকার করে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার সকাল থেকেই সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবাল কর্মচারীদের নিয়ে বিভিন্ন অনুষদে আন্দোলনকারীদের মারা তালা অপসারণ করতে যান। এসময় পুরাতন কলা অনুষদে তালা অপসারণ করতে গেলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে নিজের বিভাগের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করেন মহিবুর রৌফ শৈবাল। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
ওএইচ/