কর্মসূচিতে ‘লাগ ভেলকি লাগ, ফারজানা তুই ভাগ’ ‘টাকার চিন্তায় ঘুম আসে না’সহ নানা ব্যঙ্গাত্মক উক্তি এবং চিত্রাঙ্কিত ব্যানার প্রদর্শন করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চ’ থেকে ক্যানভাস নিয়ে র্যালিটি বের করেন আন্দোলনকারীরা।
র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার, অমর একুশ, পুরাতন কলাভবন হয়ে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
৩০ গজ দীর্ঘ ক্যানভাসের পুরো অংশজুড়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে ধরেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি প্রশাসনিক ভবন ও একাডেমিক ভবনগুলোতে অবরোধ করে রাখেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
অবরোধের ফলে অফিসগুলোতে প্রবেশ করতে পারেননি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে কার্যত বন্ধ রয়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। তবে, সকাল ১০টার পরে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বেতন-ভাতা উত্তলনের সুবিধার্থে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের একাউন্টস শাখা ধর্মঘটের আওতামুক্ত রাখেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে ৪র্থ দিনের মতো সর্বাত্মক ধর্মঘট ও টানা ৬ষ্ঠ দিনের অবরোধ কর্মসূচিতে অচলাবস্থা বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে। তবে, ধর্মঘট উপেক্ষা করে বিভিন্ন বিভাগের উপাচার্যপন্থি শিক্ষকেরা ক্লাস ও পরীক্ষা নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
এএটি