শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চে’ এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ হুঁশিয়ারি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’র মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, আমরা মনে করি, বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ প্রশাসনের আশ্রয় নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা মামলা করে আসছে। বল প্রয়োগের মাধ্যমে তারা আন্দোলনকে দমন করতে চাচ্ছে। আগের মতো আমাদের সর্বাত্মক ধর্মঘট ও অবরোধ কর্মসূচি চলবে। এছাড়া যেকোনো মুহূর্তে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
রায়হান রাইন বলেন, শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি মামলা দায়ের করেছে। যে ঘটনার কথা উল্লেখ করে এ মামলা করা হয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট হয় যে, মামলার নির্দেশ আন্দোলনকারীদের দিকে। এটি একটি প্রতারণমূলক মামলা। যে ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ বানোয়াট। সেদিন সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবালের নেতৃত্বে আন্দোলনকারী দুই শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করা হয়। কিন্তু ঘটনাটি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ বানোয়াট।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং বর্তমান উপাচার্য দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার পাশাপাশি মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত হচ্ছেন। এর আগেও তিনি ছাত্রীসহ অর্ধশত শিক্ষার্থীর নামে মামলা দিয়ে রাতের আঁধারে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। আমরা আশঙ্কা করছি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবারও একই পথে হাঁটছে। এই গায়েবি মামলার ভুক্তভোগী হলো আন্দোলনকারীরা। সুতরাং আমরা অবশ্যই এটাকে প্রতিহত করবো।
গত ৩০ অক্টোবর পূর্ব ঘোষিত ধর্মঘট কর্মসূচি পালনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবনে আন্দোলনকারী ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয় ও ক্যামেলিয়া শারমিন চূড়ার সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবাল। পরে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে হত্যাচেষ্টা, অবৈধ গণসংযোগ, ইচ্ছাকৃত আক্রমণ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্বারা রক্তপাত ঘটানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
আরবি/