পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে, সকালে ক্যাম্পাসে মিছিল করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অচল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট নিরসনের উদ্যোগ না নিয়ে রাতে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন ভিসি। এ নিয়ে সংকট আরও ঘণীভূত হবে।
অপরদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শিক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে মানববন্ধনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, সম্প্রতি ফাঁস হওয়া পাবিপ্রবি উপাচার্য ড. এম রোস্তম আলীর কাছে চাকরিপ্রার্থীর ঘুষ ফেরত চাওয়ার অডিও তদন্তসহ ১২ দফা দাবি পূরণে আন্দোলন করে আসছেন তারা। কিন্তু দাবি পূরণে বেধে দেওয়া সময়সীমা পার হলেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় উপাচার্যসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গত বুধবার (৩০ নভেম্বর) থেকে আন্দোলন শুরু করেন তারা।
আগামী ১৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আগেই দাবি বাস্তবায়ন চান শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের দাবি নিয়ে আলোচনায় না বসে রোববার রাতে গোপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলো ছেড়ে পালিয়ে যান ভিসি স্যার। দুর্নীতিগ্রস্ত, অযোগ্য ভিসি সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাচ্ছেন। সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না বলেন তারা।
এদিকে সংকট নিরসনের জন্য প্রভোস্ট, অনুষদ ডিন, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
কমিটির প্রধান বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মো. সাইফুল ইসলামকে সমন্বয়ক করে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা এখনো ছাত্রদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসেনি বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, একাডেমিক কার্যক্রম চালু রাখতে সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় শিক্ষক নেতারা বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে যেন শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত না হয়। শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অচল অবস্থার বিষয় নিয়ে পাবিপ্রবির প্রক্টর ড. প্রীতম কুমার দাস বলেন, সংকট নিরসনের জন্য ভিসি স্যার একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। সেই কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনায় বসে চলমান সমস্যার সমাধান করবেন। সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সেই কাজে ভিসি স্যার বাইরে গেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
আরএ