সোমবার (৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে নির্মিত ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চে’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’র মুখপাত্র প্রফেসর রায়হান রাইন বলেন, রোববার (৩ নভেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী তার বাসভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অচলাবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য আন্দোলনকারীদের আমন্ত্রণ জানান।
তিনি আমাদের কাছ থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক বিষয় জানতে চান। আমাদের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনা করেছে। তার সামনে বর্তমান উপাচার্যের দুর্নীতি, অনিয়ম, অযোগ্যতা, একগুয়েমি ও অগণতান্ত্রিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর সব বিষয় তুলে ধরা হয়। প্রকল্প দুর্নীতি থেকে শুরু করে সব অনিয়ম আমরা তুলে ধরেছি। শিক্ষামন্ত্রী বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করবেন বলেও জানিয়েছেন।
আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি নিজের জায়গা থেকে কাজের আশ্বাসের পাশাপাশি আন্দোলনকারীদেরও ইতিবাচক জায়গা থেকে আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। তবে, উপাচার্য অপসারণের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি ছাড়া শুধু অনুরোধে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে না বলে জানান প্রফেসর রায়হান রাইন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলন এমন অবস্থায় আছে যেখান থেকে আমরা কোনোভাবেই আমাদের নিয়মিত কর্মসূচি প্রত্যাহার করবো না। আগের মতোই সর্বাত্মক ধর্মঘট ও প্রশাসনিক ভবন অবরোধ কর্মসূচি চলবে। উপাচার্য অপসারিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
এছাড়া, যেকোনো সময় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বাসভবন ঘেরাও করার হুমকি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ অভিযোগ করে বলেন, চলমান আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্দোলনকারী ও শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দিতে চায়। আমাদের কর্মসূচির বাইরে গিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস তালাবদ্ধ করে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির মুখে ফেলে দিচ্ছে। আমরা প্রশাসনের এমন ন্যাক্কারজনক কাজের নিন্দা জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এবি/