এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে মিছিল বের করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করে তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বাংলানিউজকে জানান, সম্প্রতি ফাঁস হওয়া পাবিপ্রবি ভিসি ড. এম রোস্তম আলীর কাছে চাকরি প্রার্থীর ঘুষ ফেরত চাওয়ার অডিও তদন্তসহ ১২ দফা দাবি পূরণে আন্দোলন করে আসছেন তারা। কিন্তু দাবি পূরণে বেধে দেওয়া সময়সীমা পার হলেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ভিসিসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গত বুধবার (৩০ নভেম্বর) থেকে আন্দোলন শুরু করেন তারা।
আগামী ১৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আগেই দাবি বাস্তবায়ন চান শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের তাদের দাবির কথা আলোচনায় না বসে রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে গোপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলো ছেড়ে পালিয়ে যান ভিসি স্যার। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ভিসি স্যার সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে ফিরে আসেন ক্যাম্পাসে।
আরও পড়ুন>>> ক্যাম্পাস ছেড়েছেন ভিসি, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন বলেন, ভিসি স্যার সব বিভাগীয় প্রধানদের ফোনের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা এবং আন্দোলন বন্ধ করার জন্য সব ধরনের কার্যক্রম আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এ দুর্নীতিগ্রস্ত অযোগ্য ভিসি স্যার সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন। আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো। সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হতে দেওয়া হবে না। আগামীকাল ভিসি স্যার এবং অযোগ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাল কার্ড প্রর্দশন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তারা।
>> একদফা দাবিতে অচল পাবিপ্রবির ক্যাম্পাস
এদিকে, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে সংকট নিরসনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে প্রভোস্ট, অনুষদ ডিন, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করে ১০ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান প্রক্টর।
কমিটির প্রধান বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মো. সাইফুল ইসলামকে সমন্বয়ক করে তার ওপর দায়িত্ব দেওয়া হলেরও তিনি এ দায়িত্বের কথা অস্বীকার করে বলেন, মৌখিকভাবে আমাকে বলা হয়েছে। আমি এ ধরনের কোনো দায়িত্ব নেইনি। তবে ভিসি স্যারের কথার জন্য আমরা ছাত্রদের ডেকে ছিলাম। সেসময় তারা ভিসি স্যার ছাড়া আলোচনায় বসতে রাজি হয়নি। পরে আর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হয়নি।
কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা এখনো ছাত্রদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসেনি বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
এসআরএস