মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ।
এদিকে, অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণার পর বাধ্য হয়ে হল ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যদিও কিছু শিক্ষার্থী হল ছাড়লেও অনেকেই রয়েছেন সিদ্ধান্তহীনতার মধ্যে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৪৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মুস্তায়িন বিল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, হুট করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দিলে আমরা কোথায় যাব। অনেকেরই সামনে পরীক্ষা রয়েছে। সামনে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষাসহ একাধিক চাকরির পরীক্ষা রয়েছে। এসব পরীক্ষার্থী এখন কী করবে। প্রশাসনের কাছ থেকে এ ধরনের দায়িত্বহীন আচরণ শিক্ষার্থীরা সহ্য করতে পারছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়টির চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, একজন উপাচার্যের জন্য পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে। এ ধরনের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ কোনো উপাচার্যের কাছ থেকে প্রত্যাশা করা যায় না।
এর আগে সোমবার (০৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তার অপসারণের দাবিতে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে শিক্ষক, সাংবাদিকসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হন।
আরও পড়ুন>> অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
টিএ