সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যে সব কেন্দ্রে কেন্দ্র সচিব অথবা ইনভিজিলেটরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সে সব পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রয়োজনে উচ্চ বিদ্যালয় বা মাদরাসার প্রধান শিক্ষক/সুপারিনটেনডেন্ট/সহকারী শিক্ষকদের দায়িত্ব দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দাবি আদায়ে গত ২৩ অক্টোবর ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহাসমাবেশের চেষ্টা চালালেও পুলিশি বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়।
যদিও প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, খুব শিগগিরই শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে একটি যৌক্তিক এবং সন্তোষজনক সমাধানে উপনীত হওয়া সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. সাবের হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, অত্র দপ্তরের তথ্যানুযায়ী সারাদেশে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় মোট সাত হাজার ৪৫৮টি কেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন হাজার ৯৩১টি এবং উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদরাসায় তিন হাজার ৫২৭টি কেন্দ্র রয়েছে। এই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কেন্দ্র নির্বাচন সম্পন্ন হলেও শিক্ষকগণের বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে মর্মে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
‘এমতাবস্থায় সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পাদনের লক্ষ্যে যে সব পরীক্ষা কেন্দ্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কেন্দ্র সচিব অথবা ইনভিজিলেটরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সে সব পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রয়োজনে উচ্চ বিদ্যালয় বা মাদরাসার প্রধান শিক্ষক/সুপারিনটেনডেন্ট/সহকারী শিক্ষকদের দায়িত্ব দিয়ে পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করার বিকল্প প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। ’
সব জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষার সববিভাগীয় উপপরিচালক, সব পিটিআইয়ের সুপারিনটেনডেন্ট, উপজেলা/থানা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টরকে এ নির্দশনা পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, বিকল্পভাবে পরীক্ষা গ্রহণে এই নির্দেশনার পর ফেসবুকে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের কেউ কেউ বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
একজন শিক্ষক লিখেছেন, সব শিক্ষক একযোগে সমাপনী পরীক্ষা বর্জন ও পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন বর্জন করা উচিত। তখন দেখি মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর কী করে।
আরেকজন লিখেছেন, ২০০ টাকা হল পরিদর্শক এবং ৩ টাকা হারে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে ফি দেওয়া হয়। এই দায়িত্ব প্রাথমিক শিক্ষক ছাড়া আর কেউ নেবে না। আবার নতুন পরিপত্র জারি করে প্রাথমিক শিক্ষকদের পরীক্ষা নিতে বাধ্য করবে না তো?
বাংলাদেশ সময়: ০০১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
এমআইএইচ/আরবি/