তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রণি খান, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের নেয়ামুল, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নয়ন, আইন বিভাগের অমিত গাইন এবং মানিক মজুমদার। বাকিদের নাম পরিচয় এখনও জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৩ টায় 'এ' ইউনিটের পরীক্ষার আগে এ সিন্ডিকেটের ২ সদস্যকে প্রথম আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। এরপর একে একে অভিযান চালিয়ে বাকিদের আটক করা হয়।
জানা যায়, পরীক্ষার দুইঘণ্টা আগে প্রশ্নের সমাধান দেওয়ার খবরে অভিযান চালিয়ে পাঁচ পরীক্ষার্থীসহ হাতেনাতে প্রশ্নফাঁস চক্রের ২ সদস্য আটক হয়। এর আগে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ১১ টার দিকে শিমুলের (ছদ্মনাম) ছোট ভাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার জন্য ফোনালাপে চুক্তিবদ্ধ হয় রনি নামের শিক্ষার্থী। এ সময় সে (রনি) ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে 'এ' ইউনিটের পরীক্ষার দুইঘণ্টা আগে প্রশ্নের সমাধান করিয়ে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এরপর শিমুল ব্যাপারটি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রনির সঙ্গে শিমুল দেখা করতে গেলে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ সময় বিজয় দিবস হলের ৫১২ নাম্বার রুম থেকে জমা করা পরীক্ষার্থীদের কাগজপত্রের মূল কপি এবং ৫ পরীক্ষার্থীসহ সিন্ডিকেটটির সদস্যদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান জানান, আটকদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
'
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার বলেন, এ চক্রের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নাম এসেছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দোষী যেই হোক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার জন্য একটি চক্র নানাভাবে কৌশল অবলম্বন করছে। তবে, অপরাধী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
ওএইচ/