বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জুনতলা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মইনুদ্দিন মিয়ার সঞ্চালনায় ও সভাপতি নাযিরুল আযম বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সহ-সভাপতি তৌহিদুজ্জামান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক উইশা রশিদ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অর্ঘ্য প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, গত বছরের মতো এবারও অগণতান্ত্রিক ও অযৌক্তিকভাবে ভর্তি ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শিক্ষার্থীদের ‘ডোপ টেস্ট’ ও ‘ইনস্যুরেন্স ফি’র নামে এই বাণিজ্য হচ্ছে। গত বছর ভর্তি ফি ছিল সাড়ে সাত হাজার টাকা। এই বছর মেডিক্যাল ইনস্যুরেন্স এবং ডোপ টেস্টের নামে ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ভর্তি ফি করা হয়েছে আট হাজার টাকা।
বক্তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৭০ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভর্তি ফরমের নামে প্রায় ছয় কোটি টাকা অনৈতিকভাবে আয় করেছে। আমরা প্রশাসনের এই ৫০০ টাকা বাড়তি ফি নেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এই ফি প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।
বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ শেষে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি পেশ এবং মতবিনিময় করা হয়।
অন্যদিকে একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জাতীয় ছাত্রদল।
এসময় বক্তব্য রাখেন জাতীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি অমৃত রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক দীনবন্ধু সংকর, সদস্য ওমর ফারুক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এসএ/