মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বেগম সুফিয়া কামাল হল প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই হলের অ্যাটেনডেন্ট নাঈম হোসেন। তিনি অভিযুক্ত কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলামের ভগ্নিপতি।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, নাঈম হোসেনের বড় ভাই জনাব ইসলাম বিদেশ যাওয়ার জন্যে অর্থ সঞ্চয় করছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে এলে খাইরুল ইসলাম তাকে বিদেশ যাত্রার ঝুঁকি না নিয়ে রেজিস্ট্রার অফিসে পিয়ন পদে চাকরি করার পরামর্শ দেন এবং তার নিশ্চিত চাকরি হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
অভিযোগপত্রে নাঈম আরও উল্লেখ করেন, ‘আমার ভাইয়ের চাকরির জন্য খাইরুলকে পাঁচ লাখ টাকা দেই। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর তার মুখের সুর পাল্টে যায়। সে আমাকে বলে, চুপ করে থাকো। তোমার ভাইয়ের সিরিয়াল অনেক পরে। যাদের টাকা আগে নিয়েছি, তাদের চাকরি দেওয়ার পর তোমার ভাইয়ের কথা চিন্তা করবো। তোমার ভাইয়ের মতো বহুলোক ৩ থেকে ৪ বছর আগে টাকা দিয়ে রেখেছে। ’ এরপর টাকা ফেরত চাইলে খাইরুল ইসলাম ভুক্তভোগী ও তার ভাই নাইম ইসলামের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দেয় এবং বোনকে তার কাছ থেকে আলাদা করাসহ ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন বলেও উল্লেখ করেন নাইম।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে খাইরুল ইসলাম বলেন, এগুলোকে ভিত্তিহীন অভিযোগ। ‘গত বছরের অক্টোবরে আমার বোনের সঙ্গে নাইমের বিয়ে হয়। এরপর নাইমকে অটো কেনার জন্যে দেড় লাখ টাকা দেওয়া হয়। টাকা নেওয়ার সময় নাইম ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি সে মাদকাসক্ত। টাকার জন্যে সে প্রতিনিয়ত আমার বোনকে মারধর করতো। একারণে তার কাছ থেকে আমার বোনকে ছাড়িয়ে (ডিভোর্স) নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলে সে নানা কৌশলের আশ্রয় নিতে থাকে। কৌশলের অংশ হিসেবে অটো কেনা বাবদ তাকে দেওয়া নব্বই হাজার টাকার ভিডিওর কথা উল্লেখ করে। নিয়োগ নিয়ে তার সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘এটা নিতান্তই তাদের পারিবারিক ব্যাপার। তবে নিয়োগ নিয়ে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
ওএইচ/