ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবিপ্রবির ৮৯ শিক্ষার্থী

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২০
ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবিপ্রবির ৮৯ শিক্ষার্থী

শাবিপ্রবি: বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ‘ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ৮৯ গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হাতে এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মো. ইশফাকুল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, ফিজিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাজেদুল করীম, স্কুল অব লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম আবু সায়েম, স্কুল অব অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড মিনারেল সায়েন্স অনুষদের ডিন ড. মুহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোস্তাক আহমেদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো ফয়সাল আহমেদ,স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলাম, স্কুল অব মেডিকেল সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণায় অনেকদূর এগিয়ে গেছে। দেশেব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি। আগামী দু’এক বছরের মধ্যে আমরা দেশের শীর্ষে স্থানে অবস্থান করবো। আগামীতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নেতৃত্ব দিবে আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা।

তিনি বলেন, আমাদের  বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সেশনজট শূন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে র‌্যাগিং প্রথা নির্মূল হয়েছে। দেশ ও দেশের বাইরে আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা অনেক ভালো করছে।

তিনি আরও বলেন, এবারের সমাবর্তনে আমাদের যা ভুল হয়েছে আগামীতে তা আর হবে না। আমাদের যা ভুল ছিলো আমরা সব নোটিশ করেছি। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সামনে আরও স্ক্রিন রাখা দরকার ছিলো। তবে সামনের সমাবর্তনে এ ধরনের ভুল আর হবে না।

এছাড়া কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সমাবর্তনে খাবার দিতে না পারা আমাদের জন্য ব্যর্থতা। এজন্য আমরা গ্র্যাজুয়েটদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। সবাই ক্ষুধা নিয়েও হাসিমুখে দিন কাটিয়েছেন।

এর আগে বুধবার (৮ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ প্রাঙ্গণে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে শাবিপ্রবির সমাবর্তন। সমাবর্তনে মোট ছয় হাজার ৭৫০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২০০১-০২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকে সর্বোচ্চ ফলাফলধারী ১২ শিক্ষার্থী ও স্নাতকোত্তরে আট শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।