ডিসিপ্লিনের আয়োজিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সাতটি ব্যাচের সব শিক্ষার্থীর সমাবেশ শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠে মিলনমেলায়। ডিসিপ্লিনের সব শ্রেণির একজন করে শিক্ষার্থী তাদের অভিব্যক্তি, প্রত্যয় ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন।
এর মধ্যে প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের পক্ষে তামান্না রহমান তন্বী, দ্বিতীয় বর্ষের মেহেদী হাসান বাপ্পী, তৃতীয় বর্ষের মো. শাহীন আলম, চতুর্থ বর্ষের নওশাদ হাসান নিলয়, মাস্টার্সের শারমিন সুলতানা, এম এ ইন ইংলিশ ল্যাগুয়েজের মো. আব্দুল হান্নান, নাসিফ সাইদ। সবাই ইংরেজি ডিসিপ্লিনকে একটি পরিবার হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে জ্যেষ্ঠ ও অনুজদের মধ্যে একটি অভূতপূর্ব পরিবেশ, সমন্বয় ও সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।
শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ডিসিপ্লিনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং দেশের মধ্যে একটি অনুসরণীয় ডিসিপ্লিন হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করে সবাইকে হাত তুলে র্যাগিং ও মাদককে না ঘোষণা দেন।
প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের গত ৩৮দিনের অভিজ্ঞতায় তারা র্যাগিংমুক্ত রয়েছেন। তারাও ভবিষ্যতে এ ধারা চালু রাখবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন খুবির ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ। তিনি তার বক্তব্য শেষে গাইলেন ‘আমরা করবো জয়...’ গানটি। আর তার সঙ্গে সমস্বরে গাইলেন শিক্ষক ও মিলনায়তনের সব শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. এ আর এম মোস্তাফিজার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনে প্রধান অতিথি সাধন বলেন, শিক্ষা আমাদের চিরকালীন মনুষ্যত্বের সাধনাকে জাগ্রত করে, চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করে।
তিনি বলেন, যারা সাহিত্যের ছাত্র, যারা সঙ্গীত চর্চা করে, যারা ফুলকে ভালোবাসে তারা কাউকে খুন করতে পারে না, অর্থাৎ তারা কাউকে কষ্ট দিতে পারে না, কখনো মন্দের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে না। সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা জীবনের অন্তরাত্মাকে সুষময় করে তোলে মানবিক চেতনাকে জাগ্রত করে।
তিনি আরও বলেন, দেশের মধ্যে এখনো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ শ্রেষ্ঠ, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ। এ ধারাকে আরও প্রতিষ্ঠিত করে এমন নজির স্থাপন করতে হবে তা যেনো দেশের সর্বত্র অনুকরণীয় হয়।
আগামী মার্চ মাসে ইংরেজি ডিসিপ্লিনের ২০ বছরপূর্তি উৎসব উদযাপন করা হবে বলে ঘোষণা দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খুবির ট্রেজারার প্রফেসর সাধন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। ডিসিপ্লিনের সিনিয়র প্রফেসর ড. মো. ইমদাদুল হক স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন প্রফেসর মো. সামিউল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২০
এমআরএম/আরআইএস/