কারও ‘ইগো’ যেন অন্যদের প্রভাবিত করতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে বলেও মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ইউজিসিতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে দেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান।
গত ২৩ জানুয়ারি দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইউজিসিতে আয়োজিত ওই সভায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছে কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও ডাকা হয়।
সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, গোটা জাতির আগ্রহ সমন্বিতভাবে ভর্তি পরীক্ষার ওপর। এটা এখন জাতীয় দাবি। জাতির স্বার্থেই আমরা উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। ইতিবাচক মনোভাব ও দায়িত্ব নিয়ে উপাচার্যরা এবং সংশ্লিষ্টরা এক্ষেত্রে এগিয়ে আসবেন এ প্রত্যাশা সবার।
সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় গুটিকয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাগ্রহ সম্পর্কে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিদ্ধান্তহীনতার জন্য গোটা জাতির আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ থাকতে পারে না। কারও ইগো যেন অন্যদের প্রভাবিত করতে না পারে সেদিকে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, যদি কেউ সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় না আসে তারা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়বে। আমরা এবার একটি উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই। এটি চালু হলে আগামীতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।
তিনি স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় নারী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি লাঘবে বিভিন্ন চাপ মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে নতুন পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ তৈরির জন্য উপাচার্যদেরকে আহ্বান জানান।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালু ও সান্ধ্য কোর্স বন্ধে উপাচার্য ও সংশ্লিষ্টরা এগিয়ে এলে শিক্ষক সম্প্রদায়ের ভাবমূর্তি ইতিবাচক পরিবর্তন হবে বলে আমি মনে করি।
সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মহিউদ্দিন আহমাদ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
এমআইএইচ/জেডএস