ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

১৩ দফা দাবিতে ইবি কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
১৩ দফা দাবিতে ইবি কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি

ইবি: আপগ্রেডিং, কর্মঘণ্টা কমানো, চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধিসহ ১৩ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সদস্যরা। 

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে এক ঘণ্টা প্রশাসন ভবনের সামনে তারা এ কর্মবিরতি পালন করেন।

কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর মোর্শেদুর রহমানের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন সমিতির সভাপতি শামসুল ইসলাম জোহাসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা।

এসময় তারা প্রশাসনকে তাদের দাবি আদায়ের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দেন। পাশাপাশি বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত এক ঘণ্টা করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার কথা জানান। বুধবারের মধ্যে দাবি আদায় না হলে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে আগামী সিন্ডিকেটের আগ পর্যন্ত উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করার ঘোষণা দেন।

এদিকে কর্মকর্তা সমিতি থেকে বেরিয়ে প্রায় ১৩০ জন কর্মকর্তাদের নিয়ে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করেছে কর্মকর্তাদের একাংশ। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্নারে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ‘অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন এ সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করে।

সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তা সমিতির চলমান আন্দোলনের সঙ্গে বিরোধিতা করেন তারা। তারা জানান, দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসা কর্মকর্তাদের দাবির ৭০ শতাংশ গত সিন্ডিকেটে পূরণ করা হয়েছে। বাকি ৩০ শতাংশ এখনো প্রক্রিয়াধীন আছে।

তারা আরও জানান, প্রশাসনিক কাজ বাদ দিয়ে এমন কর্মসূচির পেছনে হীন কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। বিষয়টি আমরা অনুধাবন করতে পেরে প্রায় ১৩০ জন কর্মকর্তারা সমিতি থেকে বেরিয়ে নতুন সংগঠন করার সিদ্ধান্ত নেই। এর মাধ্যমে আমরা কর্মকর্তাদের স্বার্থ রক্ষা এবং প্রশাসনকে তাদের কাজে সহায়তা করে যাবো।

জানা যায়, ১৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত হয়েছে আহ্বায়ক হয়েছেন মো. আলমগীর হোসেন খান। সদস্য সচিব পদে মনোনীত হয়েছেন মো. আব্দুল হান্নান।

নতুন কমিটির বিষয়ে এবং আন্দোলনের বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর মোর্শেদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘দেশনেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন পুরণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি বদ্ধ পরিকর। সেই সূত্র ধরে কর্মকর্তা সমিতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবসময় অবস্থান করে আসছে। আর কর্মকর্তা সমিতির এ যাত্রায় যারা বিরোধী তারা সবসময় ষড়যন্ত্র করে আসছে। তারপরও মুজিববর্ষে কর্মকর্তা সমিতি থেকে বের হয়ে প্রশাসনের যোগসাজশে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশটা সত্যিই দুঃখজনক।

দাবি আদায়ের ব্যাপারে মোর্শেদুর রহমান বলেন, আমাদের ১৩ দফা দাবির একটি দাবিও পূরণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমরা চাই সিন্ডিকেট ছাড়াই যে দাবিগুলো পূরণ করা সম্ভব সে দাবিগুলো যেনো পূরণ হয়। নইলে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।