ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘৭ই মার্চের ভাষণ নিজেদের মধ্যে ধারণ করতে হবে’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২০
‘৭ই মার্চের ভাষণ নিজেদের মধ্যে ধারণ করতে হবে’

জামালপুর: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণেই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ অঙ্কুরিত হয়ে পরিস্ফুটিত হয়। নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ নিজেদের মধ্যে ধারণ করে সত্যিকারের মানুষ হয়ে দেশের সেবা করতে হবে। 

রোববার (০৮ মার্চ) জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) অস্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত ‘৭ই মার্চের মহাকাব্য: বাঙালি জাতির মুক্তি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।  

মুজিববর্ষের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে বশেফমুবিপ্রবির উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য্য।  

তিনি বলেন, ৫শ’ বছরের শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ অন্যতম। এই মহাকাব্য নিজেদের মাঝে ধারণ করেই বাঙালি জাতি শোষণের বিরুদ্ধে জেগে ওঠে। মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে বাংলার দামাল ছেলেরা। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।  

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার বলেন, আমরা ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপন করছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আসুন আমরা এই দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় রূপান্তর করি। মুজিববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার এক হোক। তবেই জাতির পিতাকে সম্মান দেওয়া হবে। কেননা বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ হৃদয়ে, মননে, চেতনায় ধারণ করলে জাতি কখনই পথহারা কিংবা পথভ্রষ্ট হবে না।  

সেমিনারের সভাপতি বশেফমুবিপ্রবির সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ড.  এইচএম মাহবুবুর রহমান বলেন, ৭ই মার্চ হচ্ছে একটি মহাকাব্য। মহাকাব্যের জন্য বড় বড় ভলিয়ম দরকার নেই। দরকার দার্শনিক ভিত্তি। এর জন্য তর্জুনী উঁচিয়ে সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করার তেজ থাকা চাই এবং মহানুভবতা থাকা চাই। তাহলেই তিনি মহাকবি, রাজনীতির মহাকবি।  

তিনি বলেন, মহাকাব্য পাঠ করতে হয়। কিন্তু আজীবন মানুষের জন্য রাজনীতি করা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ যে মহাকাব্য রচিত করেছেন তা হৃদয়ে ধারণ করতে হয়। যা দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।  

সেমিনারের মূল প্রবন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সৈয়দ নাজমুল হুদা ৭ই মার্চের প্রেক্ষাপট ও বাঙালি জাতির জীবনে এর গুরুত্ব তুলে ধরেন।  

সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মাহমুদুল আলম, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহম্মদ শাহজালাল, ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষক ড. আব্দুছ ছাত্তার প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিক্ষা এর সর্বশেষ