ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

করোনা: অনলাইনে বশেফমুবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের পাঠদান

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২০
করোনা: অনলাইনে বশেফমুবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের পাঠদান

ঢাকা: নভেল করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সাধারণ ছুটির প্রভাব যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাজীবনে না পড়ে সেজন্য অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেফমুবিপ্রবি)।

বৃস্পতিবার (৭ মে) বশেফমুবিপ্রবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদের নির্দেশে এবং শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বশেফমুবিপ্রবির ছয়টি বিভাগের সম্মানিত শিক্ষকরা।

বিভাগ ছয়টি হচ্ছে-কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, সমাজকর্ম বিভাগ, গণিত বিভাগ এবং ফিশারিজ বিভাগ।

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘জুম’র মাধ্যমে গত সপ্তাহ থেকে রুটিন অনুসারে নিজ নিজ কোর্সের ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা। প্রতিটি ক্লাসেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ৫০ থেকে ৬৫ শতাংশ।

শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ও তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্লাস ছুটির আগেই সম্পন্ন হয়ে যায়। অনেক বিভাগে শেষ হয়েছে ল্যাবসহ ব্যবহারিক ক্লাস। এ অবস্থায় বাকি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ক্লাসও অনলাইনে ঈদের আগেই সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

তারা বলছেন, কোভিড-১৯ এর কারণে ছুটি শুরুর প্রথমদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গ্রুপে শিক্ষার্থীদের কোর্স ম্যাটেরিয়াল দিয়ে দেওয়া হয়। এর মাঝে অনেকে অনলাইনেই তাদের অ্যাসাইনমেন্টও জমা দিয়েছেন। তবে গত সপ্তাহ থেকে অনলাইনে সরাসরি ক্লাস শুরু হয়েছে। ফলে এ ছুটিতেই প্রতিটি কোর্সের শতভাগ ক্লাস সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর শিক্ষার্থীরা শুধু সেমিস্টার পরীক্ষায় অংশ নেবে। এতে করোনার ছুটির প্রভাব তাদের শিক্ষাজীবনে পড়বে না।

এ বিষয়ে বশেফমুবিপ্রবির উপাচার্য বলেন, কোভিড-১৯ এর অচলাবস্থার মধ্যেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসগুলো অনলাইনে নিয়মিতভাবে পরিচালানা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে অনলাইন শিক্ষা দেওয়ার জন্য যে প্রযুক্তি প্রয়োজন আমাদের অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকেরা তা ব্যবহারে দক্ষতা দেখিয়েছেন। আমাদের লক্ষ্য সময় মতো সেমিস্টার শেষ করা। দীর্ঘ ছুটির কারণে শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সেজন্যেই আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি।

‘এক সপ্তাহ থেকে পুরোদমে অনলাইনে প্রতিদিনই রুটিন অনুযায়ী ক্লাসে শিক্ষকেরা পাঠদান করছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরাও অংশ নিচ্ছে। তবে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সুবিধা না থাকার কথা জানিয়েছে অনেক শিক্ষার্থী। যারা ক্লাসে অংশ নিতে পারছে না তারা পরবর্তীতে ভিডিও দেখে লেকচার শুনে নিতে পারবে। ’

তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস এ অবস্থা বেশিদিন থাকবে না। তবে এ মহামারি চলাকালে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। একই সঙ্গে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করে কারিকুলাম অনুযায়ী পড়াশোনা করতে হবে।

গত ১৭ মার্চ থেকে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও ১৬ মে পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২০
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।