ঢাকা: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত না হলেও খোলার আগে বেশকিছু নির্দেশনা মেনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনরায় চালুর প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় পুনরায় চালুর নির্দেশিকা’ সব বিদ্যালয়ে পাঠাতে মঙ্গলবার (০৮ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে চিঠি পাঠিয়েছে।
জনস্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিষয়ক সামগ্রিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কখন বিদ্যালয় পুনরায় চালু করা যাবে সে সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর সেই অনুযায়ী জাতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সহায়তার উদ্দেশ্যে এই নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান করতে এবং প্রতিটি শিশুর শিখন, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার চাহিদা পূরণ করতে এই নির্দেশিকাটি ক্রমাগত অভিযোজন ও প্রাসঙ্গিকরণ করা প্রয়োজন হবে।
বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে ছয়টি মাত্রা যথা— নীতিনির্ধারণ, অর্থ সংস্থান, নিরাপদে কার্যক্রম পরিচালনা, শিখন, সার্বাধিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠী পর্যন্ত পৌঁছানো নিশ্চিতকরণ এবং সুস্থতা/সুরক্ষা ব্যবস্থা বিবেচনা করে এই নির্দেশনা প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
পাঁচ পৃষ্ঠার ওই নির্দেশিকার আলোকে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে তাও বিস্তারিতভাবে বলে দেওয়া হয়েছে।
মহামারির কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এই ছুটির মেয়াদ ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ অবস্থায় সংসদ টিভি, বেতার এবং অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়।
করোনাভাইরাসের কারণে এবার কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা না নিয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আগামী নভেম্বর মাসেও যদি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা না যায় তাহলে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অটো পাস দেওয়া হবে বলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় বিদ্যালয় খোলা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে সারা পৃথিবী এই আক্রান্ত হয়েছে। অফিস, আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য পরিপূর্ণভাবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরিবেশ হয়নি। তারপরেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সরকারি অফিসগুলো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কলকারখানাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের লেখাপড়ার পরিবেশ আর অভিভাবকদের আপত্তি আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২০
এমআইএইচ/এমজেএফ