ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বিতর্কিত নিবন্ধ লেখার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্বদ্যিালয়ের বিএনপি-জামায়াত পন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। নিবন্ধটি প্রত্যাহার, দুঃখপ্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা সত্ত্বেও তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনাকে নজিরবিহীন বলছে তারা।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।
চাকুরিতে পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়ে বলা হয়, একটি দৈনিক পত্রিকায় লিখিত একটি নিবন্ধে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের কারণে নিবন্ধটি প্রত্যাহার, দুঃখপ্রকাশ ও ক্ষমাপ্রার্থনা সত্ত্বেও তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। শুধু ভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতের অনুসারী হওয়ায় সম্পূর্ণ বিধি বর্হিভূতভাবে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আমরা এ ধরনের নজিরবিহীন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে সাদাদলের শিক্ষকরা বলেন, ১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশের ৫৬ ধারার ৩ উপধারা এবং ১ম স্ট্যাটিউটের ৪৫ ধারার ৩ উপধারা অনুযায়ী নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ ও অদক্ষতা প্রমাণিত হলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া যায়। অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান উপর্যুক্ত কোনো অভিযোগে অভিযুক্ত নন।
১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশের ৫৬ ধারার ২ উপধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তা রাজনীতি করার তথা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার রাখেন। অথচ একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি নিবন্ধে শুধু কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত চাকরিবিধিরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২০
এসকেবি/এএ