ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপাচার্যের সঙ্গে রয়েছেন দুই জন উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি)। উপ-উপাচার্য শিক্ষা ও প্রশাসনের মধ্যে কোন পদটি সিনিয়র হবে সেটি নিয়ে সম্প্রতি দেখা দেয় অস্পষ্টতা।
এ অস্পষ্টতা দূর করতে বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ফোরাম সিন্ডিকেট।
২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রশাসন পদে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। এসময় উপ-উপাচার্য শিক্ষা হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ।
জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে অধ্যাপক নাসরীন আহমাদের নাম আগে লেখা হতো। তার মেয়াদ শেষ হওয়ায় চলতি বছরের জুন মাসে এ পদে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন কাজে কার নাম আগে লেখা হবে সেটা নিয়ে অস্পষ্টতা দেখা দেয়।
সিন্ডিকেট সভা সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা উঠলে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাকসুদ কামাল তা সমাধানের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর কথা বলেন। পরবর্তী সময়ে সিন্ডকেট সদস্যরা উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে সিরিমনিয়াল সিনিয়রিটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সামাদ বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ ও ২০১১ সালের আইন অনুযায়ী যিনি আগে অধ্যাপক হনি উনি সিনিয়র হবেন। আমি প্রোভিসি পদে দুই বছর আগে জয়েন করেছি। সে হিসেবে আমিই সিনিয়র। তারপরও আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, দুটি পদই সমমান ও সমমর্যাদার। নাম লেখার ক্ষেত্রে প্রচলিত রীতিনীতি অনুসরণ করা হয়। আর এটি সিন্ডিকেটের আলোচ্য বিষয়ও নয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২০
এসকেবি/এইচএডি/