রাবি: পেনশনসহ পাওনা বেতন-ভাতার টাকা নিয়ম বহির্ভূতভাবে আটকে রাখার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায়ের (রাবি) উপাচার্যসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মডেল স্কুলের সাবেক অধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের স্ত্রী মোমেনা জীনাত বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
রাজশাহী যুগ্ম জেলা জজ আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১৯ অক্টোবর বিবাদীদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন।
মামলার বিবাদীরা হলেন- উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এম এ বারী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. আবুল হাসান চৌধুরী এবং শেখ রাসেল মডেল স্কুলের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোসা. লিসাইয়া মেহজাবীন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মোমেনা জীনাত ১৯৯৮ সালের ১লা মার্চ শেখ রাসেল মডেল স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৫ সালে তিনি স্কুলটির অধ্যক্ষ পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। স্কুলের সংশোধিত অবসর সংক্রান্ত বিধি অনুযায়ী গত বছরের ৩০ জুন তিনি পিআরএল-এ যান।
বিধি অনুযায়ী তিনি ২০১৯ সালের জুন মাসের বকেয়া বেতন, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত একবছর পিআরএল এর বকেয়া বেতন, দু’টি বোনাস, বৈশাখী ভাতা, অর্জিত ছুটির বিপরীতে প্রাপ্য টাকা, পূর্ণ অবসর বাবদ টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন গ্র্যাচুইটি ভাতাসহ অন্যান্য আর্থিক পাওনা বাবদ ৪৫ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৫ টাকা প্রাপ্তির জন্য শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেন।
কিন্তু মোমেনা জীনাত তার আবেদনের জবাব ও পাওনা অর্থ না পেয়ে উপাচার্যের কাছে গত বছরের ১১ জুলাই প্রথমবার এবং এর দু’মাস পর ২২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বারের মত লিখিত আবেদন করেন। এরপরও কাজ না হওয়ায় মোমেনা জীনাত ২০ নভেম্বর বিবাদীদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। এছাড়াও একমাসের মধ্যে বাদীর সব পাওনা পরিশোধের জন্য বলা হয়। কিন্তু এখনও পাওনা পরিশোধ করা হয়নি।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী নুর-এ কামরুজ্জামান ইরান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী যুগ্ম জেলা জজ আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৬/২০২০ (টাকা)। আদালতের বিচারক জয়ন্তী রাণী মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১৯ অক্টোবর বিবাদীদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম. আব্দুস সোবহান বলেন, মামলার ব্যাপারে আমরা এখনো কিছুই জানি না। তাই এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারবো না। যদি মামলা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আদালতে বিচারাধীন কোনো বিষয় নিয়ে মন্তব্য করলে তা আদালত অবমাননার পর্যায়ে পড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
আরএ