নীলফামারী: নীলফামারীর জলঢাকা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষসহ ১২ শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও (মান্থলি পে অর্ডার ) বাতিল করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর।
অধিদফতর থেকে এ ১২ শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও বাতিল করে আদেশ জারি করা হয়েছে।
জানা যায়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৪ বছর আট মাস এমপিও ভোগ করেছেন জলঢাকা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। প্রতিষ্ঠানটিতে দ্বিতীয় শিফটে ক্লাস পরিচালনার অনুমতি নিলেও বাস্তবে এ শিফটে কোনো ক্লাস পরিচালনা করা হয়নি। কিন্তু ১৪ বছর ৮ মাস দ্বিতীয় শিফটে এমপিওভুক্ত হয়ে টাকা উত্তোলন করা হয়।
এজন্য প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষসহ ১২ শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও বাতিল করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর।
এমপিও বাতিল হওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা হলেন-অধ্যক্ষ আবেদ আলী, প্রভাষক সাজেদুর রহমান, জাহিদ ইকবাল, ধনপতি রায়, নূরে আলম সিদ্দিকী, মোসলেম উদ্দিন, আবদুল করিম, প্রদর্শক মসিউর রহমান, কর্মচারী ফিরোজা আক্তার, আজিজুল ইসলাম, জেসমিন আক্তার এবং ডালিমুজ্জামান।
অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১৪ বছর ৮ মাস এমপিও ভোগ করেছেন জলঢাকা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। বিষয়টি তদন্তে ধরা পড়েছে। তাই গত ১৯ আগস্ট কারিগরি মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে এ ১২ শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে জলঢাকা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ আবেদ আলী মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) বলেন, বেতনভাতা বহাল রাখার দাবিতে উচ্চ আদালতে মামলা করেছিলাম। দেড় বছর আগে প্রতিষ্ঠানটি কারিগরি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর তদন্তে আসে। মামলা প্রত্যাহার করলে এমপিও’র বিষয়টি বিবেচনা করা হবে- তদন্ত প্রতিবেদনে এমন আশ্বাস দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহার করার পরও ১২ জনের এমপিও বাতিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
এসআই