রাজশাহী: প্রায় ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এতে শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব ড. আনারুল হক প্রামাণিকসহ মোট ১৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠিকাদারকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুদকের সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন মামলাগুলো দায়ের করেন।
মামলা তিনটির একটিতে ৮ লাখ ৯১ হাজার ২৭৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া একটি মামলায় ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৪২৫ টাকা এবং অপরটিতে ৫ লাখ ৫৭ হাজার ১৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। মোট টাকার পরিমাণ ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩১।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন— বোর্ডের উপসচিব (ভান্ডার) সেলিনা পারভীন, নেসার উদ্দিন আহম্মেদ, উপবিদ্যালয় পরিদর্শক মানিক চন্দ্র সেন, সহকারী প্রোগ্রামার ফরমান আলী, নিরাপত্তা কর্মকর্তা গোলাম ছরওয়ার, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জহিরুল হক, ঈমাম আবুল হাশেম মো. রহমতুল্লাহ, ডাটা এন্ট্রি-কন্ট্রোল অপারেটর আজহার আলী, ঠিকাদার শওকত আলী, ইসরাফিল হোসেন, রওশন রেজভী আলম ও রিপন রায় কুশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়া উদ্দেশ্যে একে অপরের সহায়তায় ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ২০১৫-২০১৬ থেকে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বিভিন্ন কাজ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না করেই কাজ বাস্তবায়ন দেখিয়ে অবৈধভাবে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
কাজগুলোর মধ্যে ছিল রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের অফিস কাম বাসভবনের সংস্কার, মোটরসাইকেল এবং জিপ গাড়ি রাখার গ্যারেজ নির্মাণ, পুরাতন ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার রং করা, পুরাতন ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলার রং করা, পুরাতন ভবনের পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশে ড্রেন নির্মাণ, উপকরণ শাখা ও কর্মচারী ইউনিয়ন কক্ষের মূল রাস্তা নির্মাণ, গ্যারেজের সামনে রাস্তা উঁচুকরণ, প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তা পাথর সিমেন্ট দ্বারা উঁচু করা, পুরাতন ভবনের স্কুল কলেজ নিবন্ধন শাখার পূর্ব প্রাচীর সংলগ্ন পূর্ব ও দক্ষিণ প্রান্ত এবং ভবন সলগ্ন পূর্ব-দক্ষিণ পাশ ভরাটসহ সাপোর্ট ওয়াল দ্বারা সোলিং রাস্তাকরণ।
মামলার বিষয়ে কথা বলতে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও সাবেক সচিব আনারুল হক প্রামাণিকের ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মামলার আসামি বোর্ডের বর্তমান উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসাব রক্ষণ অফিসার মানিক চন্দ্র সেন বলেন, মামলার বিষয়ে জানি না। এ বিষয়ে পরে কথা বলব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
এসএস/এমজেএফ