ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

এইচএসসি নিয়ে পরামর্শ চাইলে জানাবো: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
এইচএসসি নিয়ে পরামর্শ চাইলে জানাবো: মন্ত্রিপরিষদ সচিব মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের এ সময় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে ক্ষমতা দেওয়া হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে মন্ত্রণালয় মন্ত্রিসভা বা প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ চাইলে তা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মহামারিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টানা ছুটি এবং স্থগিত থাকা এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এ কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, ‘আমরা বলে দিয়েছি, যেকোনো সেক্টর রেসপেক্টিভ মিনিস্ট্রিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যারা কর্তৃপক্ষ তারা নিজ বিবেচনায় ব্যবস্থা নেবেন। ’

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা এবং এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে মন্ত্রণালয় বলছে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত না আসলে তারা সিদ্ধান্ত জানাবেন না, এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ‘একদম প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করার পর আমরা কনভে করে দিয়েছি, এরপরও তারা যদি মনে করে যে সাজেশন দরকার বা কোনো রুলিং দরকার মন্ত্রিসভার বা প্রধানমন্ত্রীর, আমাদের যদি রেফার করে তাহলে সেটা বিবেচনা করা হবে। কিন্তু এখন অথরিটি তাদের কাছেই দিয়ে দেওয়া আছে। ’

চলতি বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্তের পর ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে সীমিত পরিসরে অফিস ও ১ জুন থেকে গণপরিবহন খুলে দেওয়া হয়। ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে সরকার।

এদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানো হবে কি না, স্থগিত থাকা এইচএসসি পরীক্ষা এবং করোনাকালীন শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ৩০ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে দেশে করোনা ভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা, এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে করণীয় কী হতে পারে, সে বিষয়েও জানা যেতে পারে। এছাড়া, আসতে পারে ষষ্ঠ থেকে একাদশ শ্রেণির মূল্যায়ন পদ্ধতিও।

মহামারির কারণে কয়েক দফায় গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে।

গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টিভিতে ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে। আর উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষাস্তরে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।

মহামারির কারণে এ বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করে স্কুলে স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে মূল্যায়ন করার কথা রয়েছে। অষ্টমের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। নভেম্বরে পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। জেএসসি পরীক্ষা নিয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সভা করে একটি গাইডলাইন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের প্রস্তাব করেছে।

গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে স্থগিত করা হয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা জানান, ‘এইচএসসি পরীক্ষার বিকল্প নেই। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ উচ্চ শিক্ষার বিষয়টি এইচএসসি পরীক্ষার ওপর নির্ভর করছে। এজন্য সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’

এ বছর এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর করোনার কারণে একাদশ শ্রেণিতে দেরিতে হলেও গত ৯ আগস্ট হতে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রমও শুরু করা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষাস্তরে অনলাইনে সীমিত পরিসরে ক্লাস চালু করেছে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়। সব মিলে শিক্ষা ব্যবস্থাতেও স্থবিরতা নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
এমআইএইচ/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।