ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রংপুরে অধ্যয়নরত ভারতীয়দের এমবিবিএস পরীক্ষায় অনিশ্চয়তা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
রংপুরে অধ্যয়নরত ভারতীয়দের এমবিবিএস পরীক্ষায় অনিশ্চয়তা  প্রতীকী ছবি

রংপুর: রংপুরে অধ্যয়নরত ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ভিসা জটিলতায় এমবিবিএস ফাইনাল প্রফেশনাল (সাপ্লিমেন্টারি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে এ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা।

তবে ইতোমধ্যে দেশের অন্য দুটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দিলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তারিখ না পেছানোয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের।

ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। তারা ভিসাপ্রাপ্তি সাপেক্ষে পরীক্ষার সময় বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রংপুরের বেশ কয়েকটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি ঘোষণা করা হলে এসব বিদেশি শিক্ষার্থী নিজ নিজ দেশে চলে যান। এর মধ্যে এমবিবিএস ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ভারতীয় শিক্ষার্থী রয়েছেন অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ জন।

পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী মে মাসে এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। করোনা ভাইরাসের কারণে পরীক্ষা গ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়। ফলে পরে তারিখ ঘোষণা করা হয়। এতে সবদিক বিবেচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২৮ অক্টোবর এবং চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৭ অক্টোবর থেকে পরীক্ষা গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে।

তবে পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তারিখ পিছিয়ে ২৮ অক্টোবর নির্ধারণ করলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ব নির্ধারিত ১৭ অক্টোবর থেকে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে। নেপাল ও ভুটানসহ অন্য দেশের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে ফিরে এলেও ভারতীয় শিক্ষার্থীরা এখন পর্যন্ত আসতে পারেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার (১৪ অক্টোবর) থেকে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ভিসা দেওয়া শুরু হলেও স্বল্প সময়ে ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের। নির্ধারিত ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষার তারিখ পেছানো না হলে রংপুরের সবকটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়নরত ভারতীয় ৩৫-৪০ জন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পড়বে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে অসংখ্য বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। এতে দেশের সুনাম যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ছে।

তিনি বলেন, বুধবার (১৪ অক্টোবর) থেকে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ভিসা দেওয়া শুরু হয়েছে। ভিসা প্রসেসিং করে দেশে আসতে ৪-৫ দিন সময় লাগবে। নির্ধারিত ১৭ অক্টোবরে পরীক্ষা হলে তারা অংশ নিতে পারবে না। বিদেশি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা না করে কর্তৃপক্ষ একক সিদ্ধান্ত নিলে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে শিক্ষার্থীরা। তাই শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে অন্য দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানান এই কর্মকর্তা।

সার্বিক বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিন ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. নওশাদ আলী বলেন, মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক মাস আগে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের আনতে না পারা সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষের ব্যর্থতা এবং শিক্ষার্থীরা কবে নাগাদ আসতে পারবে সে বিষয়ে তারা (অধ্যক্ষ) এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতেও পারছে না। যদি তারা বলেন যে, আগামী চারদিনের মধ্যে সব শিক্ষার্থী এসে পড়বে তাহলে পরীক্ষা সাত দিন পেছাতে কোনো আপত্তি নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।