ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের দায় বিশ্ববিদ্যালয় নেবে না: শিক্ষামন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের দায় বিশ্ববিদ্যালয় নেবে না: শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা: আগামী ১৭ মে’র আগে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবাসিক হলে উঠতে পারবে না জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এরই মধ্যে যেসব শিক্ষার্থী হলে উঠেছেন তাদের অবিলম্বে হল ত্যাগ করতে হবে।

হলে উঠতে গিয়ে কোনো শৃঙ্খলাবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে তার দায় বিশ্ববিদ্যালয় নেবে না বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

করোনাকালীন উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া দুইটায় অনলাইনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর ২৪ মে থেকে শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো ১৭ মে থেকে খুলে দেওয়া হবে। এ সময়ে অর্থাৎ ২৪ মে পর্যন্ত কোনো ধরনের পরীক্ষা হবে না। ২৪ মে’র পরে পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে। আর অনলাইন ক্লাস যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে।

ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের হলে উঠা নিয়ে এক প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে কোনো শিক্ষার্থী কোনো হলে অবস্থান করেন, যেটি করবার কথা নয়, তাদের অবিলম্বে হল ত্যাগ করতে হবে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে ব্যক্তিগতভাবে বা দলগতভাবে তারা যদি কোনো ধরনের..., শিক্ষার সঙ্গে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক বিহীন কোনো ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড যেটি অনৈতিক বা শৃঙ্খলাবিরোধী, তার সঙ্গে যদি কোথাও জড়িত হন। সেই ধরনের কর্মকাণ্ডের দায়-দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে না।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি যে আদেশ ও নির্দেশ আছে সেগুলো যদি কেউ অমান্য করেন সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব শৃঙ্খলাবিধি রয়েছে, আর বাইরে যদি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আশা করছি, সব শিক্ষার্থী ১৭ মে হলে আসার প্রস্তুতি নেবেন। অনলাইনে যে ক্লাস আছে তা করবেন।

দেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
 
শিক্ষামন্ত্রী জানান, হলগুলো খুলে দেওয়ার আগেই আবাসিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকেই টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এখন থেকে শুরু করে হল খোলার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করবেন। আবাসিক হলগুলোর অবকাঠামোগত সংস্কার এবং মেরামতের কাজগুলোও তারা সম্পন্ন করবেন।

বিসিএস নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই বিসিএস পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছেন বা অপেক্ষা করছেন। তাদের জন্য বলছি, বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দেওয়া...। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তারিখের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তারিখ ঘোষণা করা এবং করোনার কারণে বিসিএসের আবেদনের বয়সসীমা অতিক্রন্ত হয়ে কোনো শিক্ষার্থী যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।