ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

লবণ সহিষ্ণু আলু জাতের উপযোগিতা যাচাইয়ে খুবিতে মাঠ দিবস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২১
লবণ সহিষ্ণু আলু জাতের উপযোগিতা যাচাইয়ে খুবিতে মাঠ দিবস লবণ সহিষ্ণু আলু জাতের উপযোগিতায় যাচাইয়ে খুবিতে মাঠ দিবস

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) জার্ম প্লাজম সেন্টারে তাপ ও লবণ সহিষ্ণু আলু জাতের উপযোগিতা যাচাইয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১৪ মার্চ) দুপুরে এ অনুষ্ঠান হয়।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) উদ্ভাবিত এ জাতের আলু চাষের মূল উদ্দেশ্য খুলনা উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ত এলাকায় আমন ধান কাটার পর নাবি জাতের এ আলু চাষের সম্ভাবনা বাড়ানো। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন এ প্রকল্পের গবেষণা প্লট বাস্তবায়ন করছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুবি চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. মনিরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ জিএমএ গফুর, প্রকল্প পরিচালক ও গোপালগঞ্জস্থ বিএআরআই-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এম এম কামরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন খুলনাস্থ বিএআরআই-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও সরেজমিন গবেষণা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মো. হারুনর রশিদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন খুবির অ্যাগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী ফারজানা ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বিএআরআই উদ্ভাবিত উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় তাপ ও লবণ সহিষ্ণু বারি জাতের আলুর নতুন ১৫টি জাতের ৪৫টি গবেষণা প্লট প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে বারি-৬৩, বারি-৭২, বারি-৭৩ ও বারি-৭৮ এ চারটি জাত অধিকতর তাপ ও লবণ সহিষ্ণু হওয়ায় খুলনা উপকূলীয় অঞ্চলে নাবি জাত হিসেবে চাষের জন্য সুপারিশ করা হয়। ফলে এ উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকরা রোপা আমন ধান কাটার পর ডিসেম্বরে বা জানুয়ারির প্রথমার্ধে চাষ এবং বিনাচাষ উভয় পদ্ধতিতেই এ আলু উৎপাদন করতে পারবেন। আবার আগাম জাতের আমন ধান কাটার পর নভেম্বরে এ আলুর চাষ করতে পারলে তা কাটার পর বোরো বা অন্য ফসলের চাষও করতে পারবেন। তবে কৃষিবিদ, গবেষক এবং বিজ্ঞানীরা এ অঞ্চলে উৎপাদিত আলু সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের গুরুত্ব বিশেষভাবে তুলে ধরেন। তাহলে কৃষক উৎপাদিত আলু সরংক্ষণ করে পরে বিক্রি করতে পারলে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন এবং তারা আরও বেশি করে আলু চাষে আগ্রহী হবেন।

আলোচনার পর অতিথি ও গবেষকরা সরেজমিন আলুর গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে খুবির সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গবেষক ও কর্মকর্তারা এবং বটিয়াঘাটা থেকে আগত কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২১
এমআরএম/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।