ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বশেফমুবিপ্রবিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২১
বশেফমুবিপ্রবিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

জামালপুরে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ উদযাপন করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।

 

পরে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতেও।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষকবৃন্দ ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

এদিকে শ্রদ্ধা জানানো শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। পরে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ।  

তিনি বলেন, আজ আমরা এমন একজন ব্যক্তিত্বের জন্মদিন উদযাপন করছি, যিনি অনায়াসে ইতিহাসকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি একটি জাতির আত্মপরিচয়ের সন্ধান দিয়েছেন। এ অঞ্চলের মানুষের মাতৃভাষা বাংলাকে তিনি আত্মপরিচয়ের ভাষায় পরিণত করার অসামান্য পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- তিনি একটি জাতিকে ভৌগোলিক ঠিকানা দিয়ে গেছেন। সার্বভৌমত্বের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। এটি চাট্টিখানি কথা নয়। তার জন্যই আমরা বলতে পারি, আমার ঠিকানা বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনায় ছিল এ দেশের মানুষ। তিনি বলেছন, মানুষের ভালোবাসা তার শক্তি, দুর্বলতা মানুষকে খুব ভালোবাসেন সেটা। মানুষকে ভালোবেসেই জীবন উজাড় করে দিয়েছেন। তার আদর্শে নিজেদের গড়ে তুলতে পারলেই তাকে শ্রেষ্ঠ সম্মান দেওয়া হবে, যোগ করেন উপাচার্য।

প্রফেসর ড. সামসুদ্দিন বলেন, জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার প্রত্যয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আর এর নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আসুন, আমরা তার হাতকে শক্তিশালী করি। আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য গড়ে তুলি, তারা মেধা ও প্রজ্ঞায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করুক, পৃথিবীর বুকে বয়ে আনুক মাতৃভূমির সম্মান।  

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান।  

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এসব কর্মসূচি উদযাপন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২১
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।