ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনপত্র দিলেন পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তারা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২১
প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনপত্র দিলেন পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তারা

ঢাকা: বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের সাধারণ কর্মকর্তাদের একটি প্ল্যাটফরম থেকে শিক্ষা ক্যাডারে গত ৩ বছর ধরে পদোন্নতি বন্ধ থাকার প্রেক্ষাপটে পদোন্নতিযোগ্য সব কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৩০ মে) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওই আবেদনপত্রটি জমা দেওয়া হয়।

 

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ক্যাডারের পদোন্নতিবঞ্চিত কয়েকজন কর্মকর্তা আবেদনপত্রটি জমা দেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা প্রসঙ্গে ১৯৭০ সালে দেওয়া বক্তব্য ‘সুষ্ঠু সমাজ-ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্যে শিক্ষাখাতে পুঁজি বিনিয়োগের চাইতে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ আর হতে পারে না’ এবং ‘জাতীয় উৎপাদনের কমপক্ষে ৪ শতাংশ সম্পদ শিক্ষাখাতে ব্যয় হওয়া প্রয়োজন’ উল্লেখ করে আবেদনকারীরা বলেছেন, শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক এবং শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা মারাত্মকভাবে বৈষম্যের শিকার।

৩ বছর ধরে পদোন্নতি বন্ধ থাকা, একটি পদোন্নতি শুরু হয়ে একটি ধাপে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিয়ে পদোন্নতিকে অসম্পূর্ণ রেখে ৯ মাস পরে গত ৯ মে বাকি একটি ধাপের জন্য পদোন্নতি ডেকে দফায় দফায় সভা করেও সিদ্ধান্ত নিতে না পারাকে নজিরবিহীন উল্লেখ করে আবেদনে অন্যান্য ক্যাডারে যেভাবে শূন্যপদ না থাকা সত্ত্বেও ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে সেভাবে বিষয় নয় ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি দিয়ে পদোন্নতি জট দূর করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।  

একইসঙ্গে পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তারা শিক্ষা ক্যাডারের সাধারণ সদস্যদের পক্ষ থেকে দাবি করেছেন, যেহেতু ৩ বছর ধরে পদোন্নতি নেই, সেহেতু সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিযোগ্য ৩৩০৮ কর্মকর্তা এবং সহকারী অধ্যাপক পদে ২৪৭৬ কর্মকর্তা সবাইকে যেন পদোন্নতি দেওয়া হয় এবং যেহেতু এ পদোন্নতিটির অংশবিশেষ অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয় ২০২০ সালের ৩০ জুলাই সেহেতু ওই তারিখেই ভুতাপেক্ষভাবে পদোন্নতি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আবেদনে বিভিন্ন ব্যাচের পদোন্নতিবঞ্চনার পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়, চলমান পদোন্নতির অংশবিশেষ হিসেবে গত বছর যে পদোন্নতি দেওয়া সেখানে ১৬ ব্যাচের যারা পদোন্নতি পাননি তারা ১২ বছর ধরে এখনো পঞ্চমগ্রেডে সহযোগী অধ্যাপক হয়ে আছেন, তাঁদের কেউ কেউ এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী দুই/তিন বছরের মধ্যেই সহযোগী অধ্যাপক অর্থাৎ পঞ্চম গ্রেড থেকে অবসরে চলে যাবেন। এছাড়া ১৭ ব্যাচ থেকে পদোন্নতি বঞ্চিতরা ৭ বছরের বেশি সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৮, ২০ ও ২১ ব্যাচের অনেকেই ৪/৫ ধরে বছর পঞ্চম গ্রেডে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে আছেন।  

পরিসংখ্যানে বলা দেখানো হয়, চলমান পদোন্নতির জন্য যারা অপেক্ষা করছেন, তাদের মধ্যে ২২ ব্যাচ ১২ বছর ধরে সহকারী অধ্যাপক, ২৩ ব্যাচ (বিশেষ বিসিএস মুক্তিযোদ্ধার সন্তান) ৮ বছর সহকারী অধ্যাপক, ২৪ ব্যাচের যারা পদোন্নতি পাননি তারা প্রায় ৮/৯ বছর সহকারী অধ্যাপক, সিলেকশন গ্রেড বঞ্চিত ২৫ ও ২৬ ব্যাচ ৭/৮ বছর ধরে সহকারী অধ্যাপক, ২৭ ব্যাচ ৪.৫/৫.৫/ ৭.৫ বছর ধরে সহকারী অধ্যাপক, যারা বর্তমান পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্তই হয়নি। ২৮ব্যাচের অনেক কর্মকর্তা ১০ বছর ৫ মাস ধরে প্রভাষক, ২৯ ব্যাচের অনেকে ১০ বছর ধরে প্রভাষক, ৩০ ব্যাচের অধিকাংশ ৯ বছর প্রভাষক, ৩১ ব্যাচ ৯ বছর প্রভাষক, ৩২ ব্যাচ ৮ বছর প্রভাষক, ৩৩ ব্যাচ ৭ বছর ধরে প্রভাষক।

এর আগে গত ৬ মে এ ব্যানারের কর্মকর্তারা শিক্ষামন্ত্রী কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।