ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ১০ হাজার কোটির বাজেট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২১
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ১০ হাজার কোটির বাজেট

ঢাকা: দেশের ৪৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ১০ হাজার ৩২ কোটি ৮১ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। এর মধ্যে পাঁচ হাজার ৮৭৫ কোটি ৮১ লাখ টাকার রাজস্ব বাজেট এবং চার হাজার ১৫৭ কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট রয়েছে।


 
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে কমিশনের ১৬০তম সভায় বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) এ বাজেট অনুমোদিত হয়। সভার কার্যপত্র ও বাজেট উপস্থাপন করেন ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান।
 
গত অর্থবছরে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল আট হাজার ৪৮৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। সে হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এবছর বরাদ্দ বেড়েছে প্রায় এক হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব বাজেট পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সবচেয়ে কম বাজেট পেয়েছে সদ্য কার্যক্রম শুরু হওয়া হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
 
উচ্চশিক্ষায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণার জন্য ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মূল বাজেটে ১০০ কোটি ৭৪ লাখ বরাদ্দ ধরা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ৩৪ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে গবেষণায় মূল বাজেটে ৬৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছিল। এছাড়া কমিশন ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ইউজিসির জন্য ৬১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে। এরমধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার জন্য ১৮ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ ধরা হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ৩ কোটি টাকা বেশি।
 
গবেষণাখাতে অধিক বরাদ্দ বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে স্থান দিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে গুণগত শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃজন করতে হবে। এ লক্ষ্য পূরণে ইউজিসি দেশের পাবলিক বিশ্ববদ্যিালয়ের গবেষণাখাতে উল্লেখযোগ্য হারে বাজেট বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণায় এ অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করতে পারলে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হবে এবং বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে সম্মানজনক স্থান অর্জন সম্ভব হবে।
 
সভায় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম,  চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব যুক্ত ছিলেন।
 
এছাড়াও ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ওয়ালিউল হাসানাত, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিসম্পদ উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাসেত, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন, পরিকল্পনা কমিশনের একজন সদস্য (আর্থ-সামাজিক অবকাঠোমো)।
 
সভায় ১৫৯তম কমিশন সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন, গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা ও ইউজিসিতে কর্মরতদের জন্য করপোরেট গ্যারান্টির আওতায় জনতা ব্যাংক লিমিটেড সাধারণ গৃহ নির্মাণে ঋণ মঞ্জুরি নীতিমালা অনুমোদন করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২১
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।