ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ইবি ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত, পদক্ষেপ না নেওয়ায় মানববন্ধন 

ইবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২১
ইবি ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত, পদক্ষেপ না নেওয়ায় মানববন্ধন  মানববন্ধন।

ইবি: অভিযোগ দেওয়ার পর ৩৮ দিন পেরিয়ে গেলেও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রীকে উত্ত্যক্তকারী সেই ফারুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।  

রোববার (২০ জুন) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

 
 
মানববন্ধনে অভিযোগকারী ছাত্রী ছাড়াও ডজনখানেক শিক্ষার্থীদের অনলাইনে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ এনে ফারুককে অতি দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তারা। তা না হলে ইউজিসি এবং শিক্ষামন্ত্রী বরাবর অভিযোগ করার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে ফারুকের শাস্তির দাবির পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ, সাইবার বুলিং রোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ, ক্যাম্পাসের যৌন নির্যাতন সেলের কার্যকরিতা নিশ্চিতকরণ।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ডজনখানেক মেয়েকে উত্ত্যক্ত করেছে ফারুক। সর্বশেষ প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক ছাত্রীকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দেওয়া হয় তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ দেওয়ার আজ ৩৮ দিন হয়ে গেলো কার্যত কোনো পদক্ষেপই নিতে দেখিনি। বরং সে বীরদর্পে অনলাইনে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেই যাচ্ছে।  

এমনকি সে এমন কাজ করে 'পৈশাচিক আনন্দ' পাচ্ছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক নিউজের কমেন্টে লেখে। এছাড়াও তার ফেসবুক পোস্টে এ সংক্রান্ত বেশ স্ট্যাটাস দিয়েই যাচ্ছে। পারতপক্ষে তার এসব কর্মকাণ্ড প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে।

আমরা মনে করি প্রশাসন এতদিনেও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়াই তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য হুমকি স্বরূপ। অতি দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমরা ইউজিসি ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর অভিযোগ দিতে বাধ্য হবো।

জানা যায়, গত ১১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী মার্কেটিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাস দেওয়ার পরপরই অভিযুক্ত ফারুক হোসেন সেটি মুছে ফেলার জন্য হুমকি ধমকি দেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ছাত্রনেতার ভয় দেখান। এরপর ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর ফারুকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিভাগের অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পরদিন ১২ মে ফারুক হোসেনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিচার দাবি করেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনগুলোসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে ফারুকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় তুলেন শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।