ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে অধ্যাদেশ লঙ্ঘনের অভিযোগ

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২১
রাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে অধ্যাদেশ লঙ্ঘনের অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন।

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহার বিরুদ্ধে ৭৩’র অধ্যাদেশ লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন নিয়োগপ্রাপ্তরা।  

শনিবার (২৬ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ করেন।

সেইসঙ্গে দ্রুত পদে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে নিয়োগপ্রাপ্ত রাবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, গত ৫ মে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান ৭৩’র অধ্যাদেশের ধারা ১২(৫) অনুযায়ী শুন্য পদের বিপরীতে ১৪১ জন জনবল নিয়োগ দেন। পরের দিন ৬ মে আমরা যোগদান করি। কিন্তু অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের মেয়াদ শেষ হলে রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা আমাদের যোগদানকে অবৈধ আখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করে নানা অজুহাতে আমাদের কর্মস্থলে যোগদান থেকে বিরত রেখেছেন। ৭৩’র অধ্যাদেশ মতে রুটিন উপাচার্য এ ধরনের সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না।

তিনি আরও বলেন, উপাচার্য এই নিয়োগ বাতিলে প্রতিনিয়ত মিথ্যার আশ্রয় এবং ৭৩’র এ্যাক্ট লঙ্ঘন করে আসছেন। আমরা হতবাক হয়েছি তিনি গত ২৪ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর এই নিয়োগ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন যা আমাদের নজরে এসেছে। প্রতিবেদনটি মিথ্যার আলোকে সাজানো। যেখানে ৭৩’র এ্যাক্টের ভুল ব্যাখ্যায় ভরপুর। এ ধরনের ভুল ব্যাখ্যায় ভরা প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ এবং ওই প্রতিবেদন প্রত্যাহারের দাবি জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার দিনই তাৎক্ষণিকভাবে মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। আমাদের জানামতে তদন্ত কমিটি এ নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করেনি বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ নিয়োগকে অবৈধ বলেনি। কিন্তু রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য কোন ক্ষমতা বলে এ নিয়োগকে অবৈধ অ্যাখ্যা দিয়ে আমাদের কর্মস্থলে যোগদান করতে দিচ্ছেন না। আমরা কর্মস্থলে যোগদান করতে চাই। ৭৩’র অধ্যাদেশ অনুযায়ী আমাদের বৈধ নিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে কর্মেস্থলে যোগদান করার সুযোগ দিন। অন্যথায় আমরা লাগাতার আন্দোলন থেকে বিচ্যুত হবো না।

সমস্যা নিরসনে এবং দ্রুত যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন নিয়োগপ্রাপ্তরা।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আতিকুর রহমান সুমন, ওমর ফারুক ফারদিন, একেএম আরকান উদ্দিন বাপ্পি, ফিরোজ মাহমুদ প্রমুখ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান মেয়াদের শেষ দিন গত ৬ মে অস্থায়ী ভিত্তিতে (অ্যাডহক) ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। এর মধ্যে শিক্ষক পদে ৯ জন, কর্মকর্তা পদে ২৩ জন, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী পদে ৮৫ জন, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে রয়েছে ২৪ জন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তাদের কর্মস্থলে যোগদান স্থগিত রেখেছেন বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।