ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২১
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ 

গত ৩ জুলাই ২০২১ তারিখে ‘সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক এবং আইসিটি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মুহাম্মদ শাহীন উদ্দিন।

এক প্রতিবাদলিপিতে তারা বলেন, আমাদের জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তাতে আমরা খুবই মর্মাহত।

সংবাদের তথ্যগুলো অসত্য ও বস্তুনিষ্ঠ নয়। আমরা এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রকৃত সত্য হচ্ছে, বর্তমান উপাচার্য তার মদদপুষ্ট শিক্ষকদের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়কে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমানে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বারংবার এ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনেও চলমান রয়েছে। উপাচার্যের নানা অনিয়মের ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে শিক্ষকরা অভিযোগ করলে বর্তমান প্রশাসনের সুবিধাভোগী একটি চক্র নানা মিথ্যা কাহিনী রটিয়ে বেড়াচ্ছে।

শিক্ষকদ্বয় বলেন, খবরে অধ্যাপক ড. উমর ফারুকের নামে গাড়ি ব্যবহারের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি ২০১৬ সালে প্রক্টর ছিলেন না, তাহলে তিনি কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ব্যবহার করে এলাকায় গিয়েছিলেন। ড. উমর ফারুক বলেন, ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৬ সালে ১৫ আগস্ট জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাতীয় শোক দিবসের আহ্বায়ক ছিলাম। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু আদর্শের শিক্ষক ছিল হাতেগোনা ৫-৬ জন। এছাড়া ২০১৩ সালে ১৫ আগষ্ট উপলক্ষে শিক্ষকদের নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে টুঙ্গীপাড়া যাত্রার আহ্বায়ক ছিলাম। অথচ খবরে আমাকে বিএনপিপন্থী শিক্ষক হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এটি খুবই দুঃখজনক। প্রকৃত সত্য হচ্ছে- যারা অতীতে বিএনপি ধারার রাজনীতি করেছেন বর্তমানে ভোল পাল্টে এখন আমাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করছেন।  

খবরে আরো প্রকাশিত হয়েছে- বর্তমানে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন শিক্ষক সমিতির কার্যক্রম নেই। খবরটি অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অধ্যাপক ড. শাহীন উদ্দিন শিক্ষক সমিতির তিন মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতি হয়েছেন এবং তিনি বর্তমানেও সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচিত শিক্ষক সমিতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে সকল শিক্ষকদের নিয়ে অনলাইনে সভার মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বৈধতা দেওয়া হয়। অথচ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ভিসির অনুগত হওয়ায় ডাহা মিথ্যা কথা বলেছেন।

ড. মোহাম্মদ উমর ফারুক ভারতের হরিয়ানার ও পি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটিতে বেস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়ে সুনামের সহিত পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. ফারুক পিএইচডি কোর্স শেষ করে বাংলাদেশে আসেন ডেটা কালেকশন তথা ফিল্ড ওয়ার্ক করতে। এই পিএইচডির অংশ হিসেবে দেশে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সেমিনার ও ডেটা কালেকশনে অংশগ্রহন করতে হয়েছে। খবরে এটিকে বিশ্বদ্যিালয়ের নিয়মের পরিপন্থী বলা হয়েছে, যা অসত্য ও বানোয়াট। শিক্ষাছুটি থাকা অবস্থায় তিনি অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস নিয়েছেন তার অভিজ্ঞতাকে শেয়ার করার জন্য। এই বিষয়ে বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি অনুমোদন দিয়েছিল।  

প্রতিবাদে বলা হয়, ড. ফারুকের বিরুদ্ধে সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদোন্নতির ক্ষেত্রে যে সকল অ্যাকসেপটেন্স লেটার দেখান হয়েছিল তা সকল পেপার ৩ মাসের মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। ড. ফারুক প্রক্টর থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়কে সুশৃঙ্খল ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার প্রাণান্ত চেষ্টা করেছিলেন। যার স্বীকৃতিস্বরুপ বিশ্ববিদ্যালয় তাকে প্রশংসাপত্র দিয়েছিল। প্রতিবাদে ড. ফারুক বলেন, আমি প্রক্টর থাকাকালীন কোন অনৈতিক কাজের প্রমাণ কেউ দিতে পারবেন না। অথচ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে খবরে নানান মুখরোচক ও অসত্য তথ্যের সন্নিবেশ করা হয়েছে।  

তারা বলেন, আমাদের দুজনকে হেয় করতে নানা মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের সংযোজন করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

শিক্ষকদ্বয় বলেন, বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ শেষের দিকে প্রয় ৮০ জন কর্মচারী-কর্মকর্তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন পদে মাসটাররোল ও এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদের চাকরি স্থায়ী করাকে কেন্দ্র করে গত মাসে কর্মচারী ও কর্মকর্তারা আন্দোলন করেছিলেন। এ আন্দোলনের সাথে আমাদের কোন যোগসূত্র ছিল না। বরং উপাচার্য যখন শেষ মেয়াদে এসে প্রশাসনিক বিভিন্ন পদে যখন রদ বদল করতে চেয়েছিলেন তখন আমরা তার অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২১
নিউজ ডেস্ক 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।