ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২১
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ প্রশাসনিক ভবনের বাইরে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা

সিরাজগঞ্জ: চুল কেটে দেওয়া শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী বহিস্কার দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে এখনও অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে প্রশাসনিক ভবনে ভিসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ রয়েছেন।

বাইরের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষিকার সাময়িক বহিষ্কারের ঘোষণা আসার পর অনশন ভেঙেছেন তারা।  

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র নাজমুল হাসান পাপন বলেন, শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বহিস্কারের ঘোষণার পর আমরা অনশন ভেঙেছি। তবে স্থায়ী বহিষ্কার না করা পর্যন্ত আমরা মাঠে রয়েছি।

আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী শামীম হোসেন বলেন, আমরা যারা পুরাতন ছাত্র তারা ফারহানা ইয়াসমিনের রূঢ় আচরণ দেখেছি, অনেক নির্যাতন সহ্য করেছি। তাকে আর আমরা ক্যাম্পাসে দেখতে চাই না। তার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে উপাচার্যসহ শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তবে, ভিতরে অবস্থানরত কর্মকর্তাদের খাদ্যও সরবরাহ করছি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই। তদন্তে যদি ন্যায় বিচার পাই, তবেই আন্দোলন বন্ধ হবে। নইলে আবারও আমরণ অনশনে যাব।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (অতিরিক্ত দায়িত্বে) আব্দুল লতিফ জানান, শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের মূল গেট তালাবদ্ধ করে রেখে বাইরে অবস্থান করছে। তবে আমরা বাইরে কোনো কাজে যেতে চাইলে তারা খুলে দিচ্ছেন। ভিতরে তদন্তকাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন ওই বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারি প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে নাজমুল হাসান তুহিন এক ছাত্র অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা সব পরীক্ষা বর্জন করে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবনে তাল ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করে। এ অবস্থায় ওইদিন রাতেই  ফারহানা ইয়াসমিন সিন্ডিকেট সদস্যসহ  সব পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়।

এরপরও শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে আমরণ অনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। অবশেষে এ অচলাবস্থা নিরসনে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে সিন্ডিকেট মিটিং শেষে ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত এবং একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।    
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ১ অক্টোবর , ২০২১
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।