শাবিপ্রবি (সিলেট): শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) পুলিশের হামলায় আহত শিক্ষার্থী সজল কুন্ডুর ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাইলো শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ১৩টি লিখিত দাবি জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, দ্রুততম সময়ে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে তার পদ থেকে অপসারণ করে একজন গবেষণা মনা, শিক্ষাবিদ ও অবিতর্কিত ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া, প্রশাসনিক পদে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়া, অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের ওপর দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলাগুলো তুলে নিতে হবে, শিক্ষার্থীদের সকল অনলাইন লেনদেনের অ্যাকাউন্ট অবিলম্বে খুলে দিতে হবে, পুলিশি হামলার শিকার শিক্ষার্থী সজল কুন্ডুকে এককালীন ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে তাকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী অন্তত নবম গ্রেডের স্থায়ী সরকারি চাকরি দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অভ্যন্তরীণ বার্ষিক বাজেটের কমপক্ষে ৩০ শতাংশ গবেষণা খাতে বরাদ্দ করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নূন্যতম যোগ্যতা পিএইচডি ডিগ্রিতে উন্নিত করতে হবে, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে সে বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নির্দিষ্ট সংখ্যক ডেমো ক্লাস নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নূন্যতম এভালুয়েশন মার্ক অর্জন করলেই তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে, নিয়োগকৃত শিক্ষকদের কাজে যোগ দেওয়ার আগে একটা আবশ্যিক ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, সমগ্র বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে গোপনীয় কোড ব্যবস্থা চালু করতে হবে যেন শিক্ষার্থীদের কারো পরিচয় জেনে বৈষম্যমূলক মূল্যায়ন করতে না পারেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পুলিশের জন্য সকল স্থায়ী স্থাপনা অপসারণ করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হলগুলো বছরের ৩৬৫ দিনই সকল সুযোগ সুবিধাসহ খোলা রাখতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে এবং এ সকল কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের মতামতকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে উন্মুক্ত স্থাপত্য প্রতিযোগীতার ব্যবস্থা করতে হবে।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ইয়াছির সরকার বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আশ্বস্ত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় খুললে ২-৩ দিন কার্যদিবসের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
আন্দোলন চালিয়ে যাবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী যেহেতু আমাদের কথা দিয়েছেন, সেহেতু শনিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন উপাচার্য নিয়োগ বা অপসারণ যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের এখতিয়ারভুক্ত সেহেতু এ বিষয়নি তিনি (শিক্ষামন্ত্রী) আচার্যের কাছে গিয়ে এ দাবি পৌঁছে দিবেন। এরপর তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।
>>> ভিসিকে ‘দুঃখ প্রকাশ করে’ দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বললেন শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশ সময়: ০০৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
এনটি