রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এসেছেন মেহেদী হাসান নামে এক ছাত্র। গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তার ব্যবহৃত ল্যাপটবটি অটোরিকশার মধ্যে রেখেই নেমে যান।
কী করবেন, কোথায় যাবেন? ভেবে না পেয়ে দ্রুত মতিহার থানায় চলে যান। ল্যাপটপ হারিয়ে গেছে বলে থানায় জিডি করেন। পরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সাইবার ইউনিটের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার ১০ দিনের মধ্যেই সেই ল্যাপটপ খুঁজে বের করে পুলিশ।
জানতে চাইলে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বাংলানিউজকে জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে আসা ওই শিক্ষার্থীর হারানো ল্যাপটপটি উদ্ধারের পর তার হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মতিহার থানার ওসি বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুর দেড়টার দিকে তালাইমারী ট্রাফিক মোড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু ছাত্র মেহেদী হাসান তার ল্যাপটপটি ভুলক্রমে অটোরিকশায় রেখে চলে যান। পরে হারানো ল্যাপটপের কোনো সন্ধান না পেয়ে মতিহার থানায় আসেন।
এ সময় তাকে সব তথ্য দিয়ে জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করতে বলা হয়। তিনি জিডি করার পর আরএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার চৌধুরী ও তার ইউনিটের দেওয়া তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে তিনি নিজেই ল্যাপটপটি উদ্ধারের তৎপরতা শুরু করেন।
পরে মতিহার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাজ উদ্দিন আহম্মেদ, এসআই পলাশ আলী ও তাদের টিম ওই শিক্ষার্থীর হারানো ল্যাপটপটি উদ্ধার করেন। পরে ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই শিক্ষার্থীকে থানায় ডেকে হারানো ল্যাপটপটি তার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে, হারানো ল্যাপটপ ফিরে পেয়ে রাবি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মতিহার থানা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ল্যাপটপটি এত সহজেই ফিরে পাবেন বলে তার প্রত্যাশা ছিল না বলে জানান। কিন্তু আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট ও মতিহার থানার পুলিশের তৎপরতায় অল্প সময়ের মধ্যেই হারানো ল্যাপটপ খুঁজে পেয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট সবার কাছে কৃতজ্ঞ এবং খুবই খুশি বলে উল্লেখ করেন- এই শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
এসএস/এএটি