ঢাকা: শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্যক্রমে সফট স্কিল অন্তর্ভুক্তি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে হ্যাকাথন অন্যতম অনুষজ্ঞ।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) ক্যাম্পাসে সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথনের তৃতীয় আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নওফেল এসব কথা বলেন।
সিজিপিএ নয়, দক্ষতা উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপ-মন্ত্রী বলেন, আমাদের উচিত হবে প্রবলেম সলভিং দক্ষতা উন্নয়নে পোস্ট গ্রাজ্যুয়েট, আইসিটি, কোডার্স এবং বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অ্যাপ্লিকেশন ভিত্তিক কোর্সের দিকে নজর দেওয়া।
অনুষ্ঠানে হ্যাকাথনের উদ্দেশ্য বিষয়ে আয়োজক প্রাতিষ্ঠান সিটিও ফোরাম সভাপতি তপন কান্তি সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট এবং ইন্ডাস্ট্রির প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের অংশ হিসেবেই এ আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনুরোধে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এতে অংশগ্রহণের সময় বাড়ানো হয়েছে।
সেদিন থেকেই শুরু হবে আইডিয়া রাউন্ড। ২৭ অক্টোবর ডেমো রাউন্ড শেষে ১৫ নভেম্বর হবে চূড়ান্ত পর্ব। এবার তারা জাতীয় প্রয়োজনে ২১টি ক্যাটাগরিতে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে আনবে।
স্বাগত বক্তব্যে এআইইউবি উপচার্য ড. কারম্যান জেড লামাগনা আগামীতে ইনোভেশন হ্যাকাথনের অংশীদার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রতিবছর এ ধরনের আয়োজনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আইসিটি বিভাগের সঙ্গে ২০১৬ সালে সর্বশেষ হ্যাকাথনে এআইইউবি উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে। আমরা নিয়মিত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা এবং ইভেন্টগুলিতে অংশ গ্রহণ করি। তরুণ উদ্ভাবকদের উৎসাহিত করতে ইনোভেশন হ্যাকাথন নিঃসন্দেহে অনন্য একটি প্লাটফর্ম হয়ে ওঠবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মো. সাজ্জাদ হোসেন, ক্যানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জহিরুল হক, ফেয়ার গ্রুপের সিইও মোতাসিম দেওয়ান, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ।
বক্তব্যে বিকর্ণ কুমার ঘোষ জানান, সনি, মারুবিনির মতো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলো হাইটেক পার্কে তাদের কারখানা করতে যাচ্ছে এবং দক্ষ জনশক্তি খুঁজছে।
তিনি বলেন, আশা করছি অচিরেই মাইক্রোসফট, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানে সিইও হবে বাংলাদেশের মাটি থেকেই।
ফেয়ার গ্রুপের ডিরেক্টর এবং সিইও মুতাসিম দাইয়ান বলেন, এ হ্যাকাথনের লক্ষ্য তরুণ অ্যাপ ডেভেলপারদের এমনভাবে গড়ে তোলা যেন তারা স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন অর্জন করতে পারে।
প্রসঙ্গত, ইনোভেশন হ্যাকাথন ২০২২ এর টাইটেল স্পন্সর ফেয়ার টেকনোলজি ও হুন্দাই বাংলাদেশ ব্র্যান্ড। আর হ্যাকাথনে সহযোগী হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের দু’প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি ও এস্প্যায়ার টু ইনো ভেট (এটুআই) এবং বেসিস।
এ আয়োজনে ক্ষুধা মুক্ত বিশ্ব, সুস্বাস্থ্য, গুণগত শিক্ষা, ই-কমার্স, এমার্জিং টেকনোলোজি, ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্টেন্স, অনলাইন সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশানসহ মুক্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হ্যাকাথন থেকে সেরা উদ্যোগগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২
এমকে/জেডএ