শাবিপ্রবি (সিলেট): আবাসিক হলের ভর্তিকৃত বৈধ এক শিক্ষার্থীকে রুম থেকে রাতে বের করে দিয়ে সিট দখলচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
রোববার (১৬ অক্টোবর) দিনগত রাতে শাহপরাণ হলের ডি ব্লকের ৩৩৯ রুমে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শাহপরাণ হলের ডি ব্লকের ৩৩৯ নং রুমে থাকতেন পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী শামশেদ সিদ্দিকী সুমন। তিনি আগে শাবি ছাত্রলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রুহুল আমিনের গ্রুপে সক্রিয় ছিলেন। রুহুল ক্যাম্পাস ছাড়ার পর তার অনুসারীরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়। কিন্তু শামশেদ সিদ্দিকী সুমন দুই গ্রুপের কোনো গ্রুপেই সক্রিয় ছিলেন না। তবে তিনি রুহুলের গ্রুপের রুমেই থাকতেন। তাই তাকে হল থেকে বের করে দিয়ে সিট দখল করতে আসেন ছাত্রলীগ নেতা সুমন সরকারের অনুসারীরা। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. খলিলুর রহমানের অনুসারীদের সঙ্গে সুমন সরকারের গ্রুপের অনুসারীদের বাক-বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এ সময় দুই গ্রুপের কর্মীদের হাতে লাঠিসোটা, জিআই পাইপ ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দেখা যায়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই গ্রুপের কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা সুমন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, শামশেদ সিদ্দিকী সুমন আমাদের গ্রুপের কেউ না, তবে সে আমাদের গ্রুপের রুমে থাকেন। তিনি আমাদের গ্রুপের ভেতরে বিদ্রোহী কর্মী বানাতে চেয়েছিলেন এবং গ্রুপের অনেক ক্ষতিও করেছেন। তিনি আগে রুহুল আমিনের গ্রুপ করতেন। তাই তাকে হল থেকে বের করে দিতে চেয়েছি। এ সময় সিট নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়রদের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছে। আমরা তাদের মিলিয়ে দিয়ে সমস্যাটি মীমাংসা করে দিয়েছি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. খলিলুর রহমানের সাথে মোবাইল নম্বরে কল করে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এদিকে ঘটনা শুরু হওয়ার পর থেকে শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বাড়ির কোনো সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।
এ বিষয়ে শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড মো. মিজানুর রহমান খান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা হলের ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত আছি। আমরা দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২২
এসআরএস