ঢাকা: জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনকে কেন্দ্র করে ঘুষ লেনদেনের একটি চক্রের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে দুজনকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অভিযান পরিচালনার পর সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান দুদকের সহকারী পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ।
তিনি বলেন, ঘুষ লেনদেনের বিশাল নেটওয়ার্ক ইসিতে, এরকম একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে চার সদস্যের একটি টিম নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অভিযান করেছি৷ আমরা বেলা ১১টা থেকে নির্বাচন ভবনের চারপাশে গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিলাম সেবাগ্রহীতা সেজে। আমাদের দুইজন সেবা প্রার্থী হিসেবে পাশের কম্পিউটারের দোকানগুলোতে গিয়ে সমস্যার কথা বলি যে এনআইডি সংশোধন করতে হবে। তারা একটা অ্যামাউন্ট দাবি করেন। এতে করে আমাদের অভিযানে দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়।
লেনদেনের কিছু অভিযোগ আছে সেগুলো যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলেও জানান তিনি।
আসিফ আল মাহমুদ বলেন, ঘুষ লেনদেনের একটা নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। কম্পিউটারের দোকান, আনসার, দালাল, পুলিশ সদস্য থেকে শুরু করে কমিশনের কর্মকর্তারাও জড়িত রয়েছেন৷ প্রাথমিকভাবে যারা কাজ করেন তাদের চিহ্নিত করেছি। কারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চ্যানেল ওয়াইজ যাওয়া হচ্ছে৷
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, কিছু এমপ্লয়ির নাম আছে সেগুলো যাচাইবাছাই করবো। প্রাথমিকভাবে আমরা দুজনকে ধরেছি, মোবাইলে চেক করেছি৷ ওখান থেকে দেখা যায় যে বিভিন্নজনের নাম এনআইডি নাম দিয়ে সেভ করা আছে৷ সেসব নম্বরে কল দেওয়া হয়েছে। একজন ফোন রেখেই পালিয়ে গেছেন। সেগুলো এখন পেছন থেকে কারা কাজ করছে, সেটা দেখা হচ্ছে।
এনআইডি মহাপরিচালক একটি ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করতে যাচ্ছেন বলেও জানান আসিফ আল মাহমুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
ইইউডি/এসআইএস