ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বিএনপির ১৪১, আ’লীগের ৩ মনোনয়নপত্র বাতিল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৮
বিএনপির ১৪১, আ’লীগের ৩ মনোনয়নপত্র বাতিল ফটো: বাংলানিউজ গ্রাফিকস

ঢাকা: দেশজুড়ে বিএনপির ১৪১ এবং আওয়ামী লীগের ৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো তথ্য সমন্বয় করে সোমবার (০৩ ডিসেম্বর) ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা এমন তথ্য জানায়।

জানা যায়, ৩০০ আসনে বিএনপির মোট ৬৯৬ জন প্রার্থী নির্ধারিত সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এর মধ্যে বাছাইয়ে ১৪১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে ৫৫৫ জন প্রার্থী বৈধ হিসেবে রয়েছেন।
 
আওয়ামী লীগের মোট ২৮১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে ৩ জন প্রার্থীর মনোয়নপত্র বাছাইয়ে বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে দলটির বৈধ প্রার্থী রয়েছেন ২৭৮ জন। জাতীয়পার্টির ৩৮টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৩৮৪টি।
 
আওয়ামী লীগ ও তার জোটের চিত্র:

দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মিত্রদের নামে মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে জেপির ১৭টির মধ্যে ১৩টি, সাম্যবাদী দলের ৩টির মধ্যে ২টি, গণতন্ত্রী পার্টির আটটির মধ্যে সবগুলো বৈধ হয়েছে।

ন্যাপের ১৪টির মধ্যে ১১টি, ওয়ার্কার্স পার্টির ৩৩টির মধ্যে ৩২টি, জাসদের ৫৩টির মধ্যে ৩৯টি, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ৩টি, তরীকত ফেডারেশনের ২০টির মধ্যে সবগুলোই বৈধ হয়েছে।

এছাড়া বিকল্প ধারার ৩৭টির মধ্যে ২৪টি মনোনয়নপত্র সঠিক রয়েছে।
জাকের পার্টি ১০৮টির মধ্যে ৭৩টি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে উৎরাতে পেরেছে।
 
বিএনপি ও তার জোটের চিত্র:
বিএনপির রাজনৈতিক মিত্রদের মধ্যে  বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে গণফোরামের ৬১টির মধ্যে ৪৪টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ৩৭টির মধ্যে ৩২টি, জেএসডির ৫১টির মধ্যে ৪৪টি, এলডিপির১৫টির ১২টি, বিজেপির ১১টির মধ্যে ৬টি, এনপিপির ৯০টির মধ্যে ৭৩টি, জাগপার ৬টির মধ্যে ৪টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ১৩টির মধ্যে ১১টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ৪৯টির মধ্যে ৪০টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ১৫টির মধ্যে ১৪টি, কল্যাণ পার্টির ৫টির মধ্যে সবগুলোই বৈধ হয়েছে।
 
বামজোট:
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সিপিবির ৭৭টির মধ্যে ৬৯টি, বাসদের ৪৯টির মধ্যে ৪৩টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ৩০টির মধ্যে ২৭টি মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।
 
ইসলামী দল ও অন্যান্য:
এছাড়া ইসলামী ঐক্যজোটের ৩২টির মধ্যে ২৭টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের ১২টির মধ্যে ৯টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২৯৯টির মধ্যে ২৮১টি বৈধ হয়েছে।
 
এছাড়া বিএমএলের ১৭টির মধ্যে ৬টি, বিএনএফের ৭১টির মধ্যে ৫৬টি এবং বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ২২টি, খেলাফত মজলিসের ১৩টি মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।
২৮ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। তাদের ৩০৬৫ টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা পড়ে মোট ২৫৬৭টি। এর বাইরে স্বতন্ত্র ৪৯৮টি মনোনয়নপত্র মিলিয়ে মোট সংখ্যা ৩০৬৫। ২ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ দিন। ওইদিন ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৭৮৬টি অবৈধ বলে ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। স্বতন্ত্র বৈধ প্রার্থী আছেন ১১৪টি।

বাতিল হওয়া প্রার্থীরা বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ইসিতে আপিল করতে পারবেন। সোমবার প্রথমদিনে৮২ জন আপিল করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনের বৈধপ্রার্থী মানু মজুমদার। তাকে ঋণ খেলাপি উল্লেখ করে তার প্রার্থিতা বাতিল করার জন্য আবেদন করেছেন শাহ কুতুবুদ্দীন আহমদ।

৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর শুনানি করে আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবে কমিশন। আর ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ৩০ ডিসেম্বর হবে ভোটগ্রহণ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮
ইইউডি/এমএ/এমকেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।