রাজশাহী বিভাগের মধ্যে কেবল পবাই একমাত্র উপজেলা যেখানে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সঙ্গে পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের মুরশইল ও কেচুয়াতৈল গ্রামের সীমানা নিয়ে জটিলতায় হাইকোর্টে রিট করেন এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল বারী ভুলু।
মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র হাতে পেয়ে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন পবার পারিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল বারী ভুলু।
তিনি জানান, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরেও তিনি বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। তখনও উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।
রাজশাহীর পবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মীরদাহ মোসাম্মদ শাহনাজ পারভীন জানান, তফসিল ঘোষণার পর তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ অবস্থায় মঙ্গলবার নির্বাচন স্থগিত সংক্রান্ত কাগজপত্র হাতে পান। সেগুলো জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
রাজশাহীর পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ নেওয়াজও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ সংক্রান্ত একটি মেইল তার কার্যালয়েও বিকেলে এসেছে। বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
এদিকে, ২০১৪ সালের চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পবায় দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জামায়াত নেতা মকবুল হোসেন। ওই নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান হন ওয়ার্কার্স পার্টির আশরাফুল হক তোতা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হন জামায়াতের খায়রুন নেশা।
পরের বছর উপজেলা চেয়ারম্যানের মৃত্যু হলে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ভোটগ্রহণের তিন দিন আগে এ নির্বাচন স্থগিত করে দেন হাইকোর্ট। এবারও এক বছরের জন্য এ নির্বাচন স্থগিত করা হলো। বর্তমানে পবায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খায়রুন নেশা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
এসএস/এএ