সূত্রগুলো জানিয়েছে, এবারের কার্যক্রম জেলাভিত্তিক সম্পন্ন করার কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০০২ সালের আগে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তাদেরকেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
হালনাগাদের সময় যারা আবাসস্থল পরিবর্তন করেছেন বা যাদের ঠিকানা পরিবর্তন হয়েছে, তারাও সুযোগ পাবেন সংশোধনের।
নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম চূড়ান্ত করার জন্য সোমবার (০৮ এপ্রিল) কমিশন বৈঠকে বসছে। এদিন বিকেল সাড়ে তিনটায় নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। এখান থেকেই সিদ্ধান্ত আসতে পারে কবে থেকে শুরু করা হবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ।
কমিশন বৈঠকে কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইসির নিয়োগ করা তথ্য সংগ্রহকারীরা তথ্য নেওয়ার তিন সপ্তাহ পর নির্দিষ্ট নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি ও দশ আঙুলের ছাপ দিতে হবে। আর নিবন্ধন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে প্রতিটি ওয়ার্ডে।
প্রতি দুই হাজার নাগরিকের বিপরীতে একজন করে তথ্য সংগ্রহকারী নিয়োগ দেওয়া হবে। পাঁচজন তথ্য সংগ্রহকারীর জন্য থাকবেন একজন সুপারভাইজার। প্রতি ৭০ জন নাগরিকের জন্য একজন করে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করা হবে। যারা ভোটারদের তথ্য সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করবেন।
আর বিশাল এ কর্মযজ্ঞের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮২ দশমিক ৫ কোটি টাকা। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের তৈরি করা কর্মপরিকল্পনাটি বৈঠকে অনুমোদন পেলে শিগগিরই শুরু হবে হালানাগাদের কাজ। হালানগাদের পর দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহের কথাও রয়েছে।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার বৈঠক আছে। সেখানেই হয়তো ঠিক হবে কবে থেকে কী পন্থায় এবারের হালনাগাদের কাজ সম্পন্ন করা হবে। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে স্থগিত হালনাগাদ কার্যক্রমের জন্য বেশি সময় হয়তো নেওয়া হবে না।
বর্তমানে দেশে ভোটার রয়েছেন ১০ কোটি ৪১ লাখ ৩৮১ জন।
প্রসঙ্গ রোহিঙ্গা ও ভারতীয় নাগরিক
প্রতি বছরই ভোটার তালিকায় ঢুকে পড়ছে মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা। ১০ লাখ রোহিঙ্গা ঢুকে পড়ায় শঙ্কা আরও বেড়েছে। এছাড়া ভারতীয়দের নিয়েও রয়েছে উদ্বেগ।
কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, রোহিঙ্গারা এখন বৃহত্তর চট্টগ্রাম ছেড়ে সমতলেও ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্নভাবে ভারতের নাগরিকরাও ভোটার হচ্ছেন। তাই ‘বিশেষ এলাকা’ আরও বিস্তৃত করার কথাও ভাবছে কমিশন। মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী বা অন্য দেশের নাগরিকরা যাতে ভোটার না হতে পারেন সেজন্য বিশেষ কমিটি গঠনের মাধ্যমে বিশেষ ফরমের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস