নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, হালনাগাদে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে ১৩ মে পর্যন্ত।
ইসি সচিব বলেন, ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম এ রকম নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের নাম ২০২০ সালে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর যাদের বয়স এখনো ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি, তাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
ঢাকাসহ অন্যান্য মহানগরের বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, মহানগরের জন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদে ট্যাবটা ব্যবহার করতে চাই। কারণ এতে লোকেশনটা দেখা যায়। কোথায় অবস্থান করছে। ঢাকা শহরে বাড়ি বাড়ি যাওয়া ডিফিকাল্ট। কারণ মানুষ খুব একটা সহযোগিতা করতে চায় না। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে আমরা এ বিষয়ে অনেক বেশি সহযোগিতা পাই।
“ঢাকাতে আমরা কোন প্রক্রিয়ায় তথ্য সংগ্রহ করবো, সেটা যারা তথ্য সংগ্রহ করবেন এ বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বাড়ি বাড়ি যদি যেতে না পারে, তাহলে কোনো কমিউনিটি সেন্টারে করবো কি না, বা তাদের একটি নির্দিষ্ট সোসাইটি আছে, সেখানে ফ্ল্যাট বাড়ির নিচে এনে তাদের ভোটার করা যায় কিনা, এসব বিষয় আমরা বিবেচনা করবো। ”
ইসি সচিব আরো বলেন, ২৫ মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে। কোনো কারণে তথ্য সংগহের সময় কেউ যদি বাদ পড়েন, তবে তিনি নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়েও তার তথ্য দিয়ে নিবন্ধিত হতে পারবেন।
হালনাগাদ কার্যক্রমে মোট তথ্য সংগ্রহকারী থাকবে ৫২ হাজার ৫০০ জন। সুপারভাইজার ১০ হাজার ৫০০, টেকনিক্যাল সাপোর্টে থাকবে ৬৪ জন। আর ৭৫০ পয়েন্টে রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এবারে হালনাগাদের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
ইইউডি/এমজেএফ