সম্প্রতি মাঠ পর্যায়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ দৃষ্টিগোচর হওয়ায় এমন নির্দেশনা দিলো এনআইডি সরবরাহকারী সংস্থাটি।
ইসির এনআইডি অণুবিভাগের সহকারী পরিচালক আরাফাত আরা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা রোববার (২৬ মে) মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে— ইদানিং কিছু কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে মাঠ পর্যায়ে এনআইডি সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে সেবাপ্রার্থীকে যথাযথ সেবা প্রদান করা হচ্ছে না। সেবাপ্রার্থীকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বা সেবা প্রদানে অহেতুক গড়িমসি বা দীর্ঘসূত্রিতার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। এনআইডি সংক্রান্ত কোনো আবেদন প্রার্থী নতুন অন্তর্ভু্ক্তি (নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন), এনআইডি সংশোধন, কর্তন বা স্থানাস্তর বিষয়ে সেবার জন্য অফিসে আসলে তাকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের চেষ্টা করতে হবে। সেবাপ্রার্থী যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয়, বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
নির্দেশনাটি বাস্তবায়নের জন্য তিনটি করণীয় নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এগুলো হলো—
=>জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধন সেবা পেতে কোনো ব্যক্তি আবেদন করলে তা প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টসহ ৩ দিনের মধ্যে সার্ভারে আপলোড করে চেক বাই উপজেলা করে দিতে হবে। আবেদনকারীর কাছে বারবার ডকুমেন্ট চাওয়া যাবে না। আবেদনকারীর প্রত্যাশিত সেবা অনুযায়ী যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে স্বাক্ষরিত স্লিপের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতার কাছে দিতে হবে। ভিবিআরএস কার্ড ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারটিতে কোনো আবেদনকারীর কাছে নোটে কোনো ডকুমেন্ট চাওয়া হলে তা আবেদনকারীকে দ্রুত জানাতে হবে।
এছাড়া তদন্তে থাকা আবেদন দ্রুত তদন্ত করে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করবেন। অন্যথায় আবেদনকারীর পক্ষে জানা সম্ভব নয় তার আবেদনটি কী অবস্থায় আছে এবং সেবা থেকে বঞ্চিত হবে ও ভোগান্তির শিকার হবে।
=> নতুন অন্তর্ভুক্তি সংক্রান্ত সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে উপজেলা থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাচাই বাছাই করে জেলায় পাঠাতে হবে এবং জেলা হতে প্রিন্ট করে সাত দিনের মধ্যে ভোটারের কাছে পৌঁছাতে হবে।
=> উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তার অফিসের কর্মচারীরা কিভাবে মানুষকে সেবা দিচ্ছে এবং এ বিষয়ে কত সময় নিচ্ছে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ মনিটর করবেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা নিজের অফিসের পাশাপাশি তার আওতাধীন উপজেলা নির্বাচন অফিস মনিটর করবেন এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা অফিস এবং তার আওতাধীন জেলা নির্বাচন অফিসগুলো মনিটর করবেন।
মাঠ পর্যায়ে উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারাই এনআইডি সেবা দিয়ে থাকেন। কিন্তু অনেক আবেদনেই দীর্ঘদিন পড়ে থাকে মাঠ পর্যায়ে। কারো আবেদন ফরোয়ার্ড করা হয় না। কাউকে আবার বারবার সময় দিয়ে দীর্ঘসূত্রিতার মধ্যে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ আসছে বলে জানিয়েছে ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
ইইউডি/এমজেএফ