ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

দৃশ্যমান অপরাধ ছাড়া ভোটের আগে গ্রেফতার চায় না বিএনপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২০
দৃশ্যমান অপরাধ ছাড়া ভোটের আগে গ্রেফতার চায় না বিএনপি

ঢাকা: আসন্ন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান অপরাধ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার না করার ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দাবি জানিয়ে বিএনপি।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ইসির সঙ্গে দুইঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করে দলটির একটি প্রতিনিধি দল এ দাবি জানিয়েছে।

বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের অভিযান, ভয়ভীতি সৃষ্টি, এজেন্টদের ভয়ভীতি প্রদর্শন বড় সমস্যা, তাদের বিরত রাখতে আশ্বাস দিয়েছে কমিশন।

কমিশন বলেছে এগুলো হবে না। নেতাকর্মীদের যে গ্রেফতার হয় তারা আশ্বাস দিয়েছেন অপরাধ দৃশ্যমান না হলে বা মার্ডার না হলে গ্রেফতার বন্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ভোটার ও প্রার্থীবিহীন ভোট হয়েছে। ২০১৮ সালে মধ্যরাতে ভোট চুরি হয়েছে। এখন নতুন পদ্ধতি হিসেবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে। ইভিএম হচ্ছে নিরবে, নিঃশব্দে ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোট চুরির প্রকল্প।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু মাহমুদ বলেন, আমার টেকনিক্যাল টিম নিয়ে এসে একটি মেশিন হয়তো পরীক্ষা করলাম। সেটা ভালো জেনে সন্তুষ্টি নিয়ে ফিরলাম। কিন্তু ভোটের আগে হাজার হাজার মেশিন কে পরীক্ষা করবে?

পৃথিবীর দুই শত দেশের মধ্যে মাত্র চারটি দেশে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। এই চারটি দেশের সরকার এবং নির্বাচন কমিশন কোনোটাই বিতর্কিত নয়। বাংলাদেশের সরকার এবং নির্বাচন কমিশন দু’টি বিতর্কিত। ফলে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ইভিএম অন্তরায়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ক্ষমতা দখলের একটি নতুন প্রক্রিয়া দেখতে পাচ্ছি সেটি হলো ইভিএম। এ যন্ত্রের মাধ্যমে ভোটচুরির যে প্রক্রিয়ায় সেটা হলো একেবারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নীরবে নিঃশব্দে ভোটচুরির একটি প্রকল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। নির্বাচনের ফলাফল কি হবে সেটা নির্ভর করবে ইভিএমের প্রোগ্রামের ওপর। জনগণ যে ভোট দেবে সেই ভোটটা কাকে দেবে তার পেপার ট্রেইল নেই। এটা না থাকার কারণে ইভিএমের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য জামিলুর রেজা চৌধুরী এ প্রকল্পে সই করেননি। ফলে সেখানে ভেরিফাই বা পরীক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও নির্বাচন কমিশন রহস্যজনক কারণে ইভিএমে গেছে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, এরই মধ্যে আমাদের একজন প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরেকজনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ তাকে মুন্সিগঞ্জের আলু ক্ষেতে পাওয়া গেছে। সংরক্ষিত নারী আসনের আমাদের এক প্রার্থীর বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার যে প্রক্রিয়া তা এরই মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। অভিযানের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থক এজেন্টদের হয়রানি করা হয়। বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশনে তুলে ধরেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন এ ধরনের অভিযান এবার হবে না।

এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি'র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বে বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম ও রফিকুল ইসলাম উপস্থিত রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
ইইউডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।