ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন

পৌর নির্বাচন

খুলনায় নৌকা-ধানের শীষ সমানে সমান

মাহবুবুর রহমান মুন্না, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৫
খুলনায় নৌকা-ধানের শীষ সমানে সমান ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: খুলনার পাইকগাছা ও চালনা পৌর নির্বাচনের প্রচারণা এখন তুঙ্গে। পৌর এলাকা ছেয়ে গেছে পোস্টার-ব্যানারে।

চলছে প্রার্থীর পক্ষে মাইকিং। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা। তবে সবার দৃষ্টি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীর দিকে।

ভোটারদের কাছে টানতে দুই দলের প্রার্থীই আদাজল খেয়ে নেমেছেন নির্বাচনী মাঠে।

সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বিরামহীন প্রচারণা। বড় দুই দলের জেলা ও মহানগর নেতারাও প্রতিদিন যোগ দিচ্ছেন এ প্রচারণায়।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছা ও দাকোপের চালনা পৌরসভায় প্রার্থীর সংখ্যা ৮৭। এর মধ্যে মেয়র পদে ছয়, সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ৬৮ এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে প্রার্থীর সংখ্যা ১৩ জন।

পাইকগাছা পৌরসভায় আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেলিম জাহাঙ্গীর নৌকা, বিএনপি মনোনীত অ্যাডভোকেট জিএম আব্দুস সাত্তার ধানের শীষ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ গাজীর প্রতীক নারকেল গাছ।

এ পৌরসভায় মেয়র পদে তিনজন, সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অপরদিকে চালনা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সনৎ কুমার বিশ্বাস নৌকা, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শেখ আব্দুল মান্নান ধানের শীষ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. অচিন্ত্য কুমার মন্ডলের প্রতীক জগ । এ পৌরসভায় মেয়র পদে তিনজন, কাউন্সিলর পদে ৩৩ জন এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ছয়জন প্রার্থী চূড়ান্ত লড়াইয়ে রয়েছেন।

দুই উপজেলার বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘ সাত বছর পর ভোটযুদ্ধে মুখোমুখি দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। পৌর নির্বাচনে জামায়াত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকলেও মূলত লড়াই হবে নৌকা ও ধানের শীষে।

পাইকগাছা তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল আজিজ বাংলানিউজকে বলেন, পৌর নির্বাচনে এখানে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমানে সমান প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। একইসঙ্গে নতুন ভোটারদের সমর্থন পেতে নির্বাচনী প্রচারণায় নতুন নতুন প্রতিশ্রুতি যুক্ত করছেন প্রার্থীরা।

চালনা ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অনিমেষ সাহার মতে, স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকলেও এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।  

স্থানীয় নির্বাচন বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির প্রার্থী শূন্যতা আর নতুন ভোটার পাল্টে দিতে পারে জেলার চালনা ও পাইকগাছা পৌর নির্বাচনের সব সমীকরণ। এ অবস্থায় প্রার্থী না থাকায় জাতীয় পার্টির ভোট ব্যাংকে ভাগ বসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ-বিএনপি।

১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মাত্র ২ দশমিক ৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত হয় পাইকগাছা পৌরসভা। তিনটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মেয়র নির্বাচিত হলেও অধিকাংশ কাউন্সিলর নির্বাচিত হন বিএনপির।

বর্তমানে পৌরসভার মোট ভোটার ১২ হাজার ৫৪৬ জন। অপরদিকে, ২০০৪ সালের ১৫ নভেম্বর চালনা পৌরসভার যাত্রা শুরু হয়। এ পৌরসভার আয়তন ৯ দশমিক ৪৫ বর্গকিলোমিটার। সর্বশেষ ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ১১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৫০৩ এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ৫ হাজার ৬১৩।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৫
এমআরএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।